পাকিস্তানকে তোপ দেগেছিলেন সম্প্রতি। সোমবারও সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়ত জানিয়ে দিলেন, অনুপ্রবেশ বন্ধ না হলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অন্য ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে।
আজ সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের উদ্দেশে ওই হুঁশিয়ারি দেন সেনাপ্রধান। তবে ‘অন্য ব্যবস্থা’ কী সে বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যা দেননি সেনাপ্রধান। তবে তাঁর বার্তা, পাকিস্তান যদি অনুপ্রবেশে মদদ দেওয়া বন্ধ না করে সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ঘটনাচক্রে আজই ভারতীয় সেনার পাল্টা হামলায় নিহত হন সাত পাক সেনা। অভিযানের সাফল্যের জন্য বাহিনীকে অভিনন্দন জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ।
কেন্দ্রের একটি শীর্ষ সূত্রের মতে, দু’পক্ষের যুদ্ধবিরতি চুক্তি বলতে অবশিষ্ট কিছু নেই। সীমান্তের প্রায় প্রতিটি সেক্টরই গুলি বিনিময়ের শিকার। যে ভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাক সেনা হামলা চালাচ্ছে তাতে ক্ষুব্ধ সেনার শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে বিপিন রাওয়তের ওই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। যে ভাবে সেনাকে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া আছে তাতে পাকিস্তানের উপরে হামলার তীব্রতা আগামী দিনে বাড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার বিপিন রাওয়তের দু’দিন আগে করা মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক হয় জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায়। সম্প্রতি রাওয়ত মন্তব্য করেন জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে ভুল তথ্য পড়ানো হচ্ছে। ফলে উপত্যকায় মৌলবাদ মাথাচাড়া দিচ্ছে। মাদ্রাসাগুলির উপরেও নিয়ন্ত্রণের কথা বলে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। ঘটনাচক্রে দু’দিনের মধ্যেই কেন্দ্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাঠ্যসূচির সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর সরকার।
সোমবার সকালে সেনাপ্রধানের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কেরা সরব হন। জম্মু-কাশ্মীরের শিক্ষামন্ত্রী আলতাফ বুখারি রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সেনাপ্রধানের নাক গলানোর সমালোচনায় সরব হন। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিবৃতি দাবি করলে স্পিকার তা খারিজ করে দেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন