কাশ্মীর সীমান্তে সেনা হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। মঙ্গলবার ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার জেপি সিং-কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে এনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদের কথা জানানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে দ্বিতীয় বার ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনারকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকে পাঠানো হলো।
পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মাদ ফয়সাল মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ভারতীয় বাহিনী গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা নিয়মিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। কিন্তু তাদের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
গতকাল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বলেছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হামলায় চার পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এর জবাবে পাল্টা হামলায় তিন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছে বলে ইসলামাবাদ দাবি করেছে। তবে ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের সাত সেনাকে হত্যা করেছে।
আত্মঘাতী বোমা হামলা হারাম: পাকিস্তানি আলেমদের ফতোয়া
পাকিস্তানের ১৮০০ আলেম আত্মঘাতী বোমা হামলাকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনের তৎপরতায় পাকিস্তান যখন সহিংতার কবলে পড়ে রয়েছে তখন এই ফতোয়া দিলেন দেশটির আলেমরা।
মঙ্গলবার পাক সরকার একটি বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করেছে এবং ওই বইয়ে এসব আলেম আত্মঘাতী বোমা হামলার বিষয়ে সর্বসম্মত ফতোয়া তুলে ধরেছেন।
তারা বলেছেন, ‘কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে পবিত্র যুদ্ধ বা জিহাদ ঘোষণার কোনো এখতিয়ার নেই।’
পাক আলেমরা আরো বলেছেন, এসব আত্মঘাতী হামলা নিষিদ্ধ; ফলে বোমা হামলার মাধ্যমে ইসলামের মূল শিক্ষা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
পাকিস্তানের ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় বইটি বের করেছে। এ বই প্রকাশের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- পাকিস্তানে সন্ত্রাসবাদের লাগাম টেনে ধরা। ২০০০ সালের পর থেকে পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলা ও নানামুখী সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসেইন আশা করেন, সর্বসম্মতভাবে দেয়া এই ফতোয়ার কারণে পাকিস্তানে সৃষ্ট সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও সাম্প্রদায়িকতার চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন