ফেসবুকে প্রেম, অতঃপর গাঁটছড়া বাঁধতে পাকিস্তানে উড়ে এল কানাডীয় নারী
21 Jan, 2018
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পরিচয়, অতঃপর প্রেম এবং শেষপর্যন্ত ভালবাসার মানুষকে নিয়ে গাঁটছড়া বাঁধতে সুদূর কানাডা থেকে উড়ে পাকিস্তানে এলেন কানাডীয় এক নারী।
এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট ফেসবুকে হাফিজাবাদ জেলার জালালপুর ভাটিয়ান এলাকার যুবক কায়সার আব্বাসের সঙ্গে কানাডীয় নারী অ্যাগনেথার পরিচয় হয়।
এরপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়, পরে শিগগিরই তাদের বন্ধুত্ব প্রেমের দিকে গড়ায় এবং কায়সারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে অ্যাগনেথা পাকিস্তানে চলে আসেন।
হাফিজাবাদে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে অ্যাগনেথার ইসলামে ধর্মান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
চলতি বছরও একই রকম আরেকটি ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তানি নাগরিক সাজ্জাদকে বিয়ে করার জন্য ছুটে আসেন জাপানি এক তরুণী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের সূত্রে পরিচয় তাদের। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। আর তাদের সেই প্রেমকে পরিপূর্ণতায় রূপ দিতে নিজের ধর্ম-আত্মীয়দের পরিত্যাগ ভালবাসার মানুষটিকে বিয়ের জন্য পাঞ্জাবের সাদিকাবাদ এলাকায় পৌঁছান জাপানি তরুণী সাকুরাই।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘দুনিয়া নিউজ’ এর খবরে বলা হয়েছিল, দুই বছর আগে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে পাকিস্তানি তরুণ ২৫ বছর বয়সী সাজ্জাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় হয় জাপানি ওই তরুণীর। পরে তাদের এই বন্ধুত্ব ভালবাসায় পরিণত হয় এবং সাজ্জাদের আমন্ত্রণে পাকিস্তানে চলে আসেন পৌঁছায় তিনি।
যদিও ওই তরুণীর বাবা-মা ও বন্ধুরা তাকে পাকিস্তানে না যাওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ জানিয়েছিল বলে খবরে বলা হয়। তবে, তাদের সব অনুরোধ উপেক্ষা করে ভালবাসার মানুষটির কাছে চলে আসেন তিনি।
জাপানী ওই তরুণী ডিস্ট্রিক্ট আদালতের মাধ্যমে ইসলামে ধর্মান্তরিত হন এবং তার নাম পরিবর্তন করেন।
সাজ্জাদ জানান, তিনি অত্যন্ত আনন্দ অনুভব করছেন এবং তার অনুভূতিকে তিনি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছেন না। পাকিস্তানে আসতে পেরে ওই জাপানী তরুণীও অত্যন্ত আনন্দিত বলে তিনি জানান।
গেল বছরে দেশটিতে একই রকম আরো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর তারিখে পাকিস্তানি যুবককে বিয়ে করতে দেশটির লেয়াহতে চলে আসেন একজন চীনা নারী। ২০১৫ সালে ফেসবুকে তাদের পরিচয় হয়েছিল।
ফেসবুকে একে অপরের বন্ধু হয় আবদুল খালেক এবং লি গুইহুয়ার। একদিন তারা একসঙ্গে বাস করবে- তা তারা কখনো কল্পনাও করেনি। তাদের বন্ধুত্ব অবশেষে প্রেমে গড়ায় এবং উভয়েই বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি তারিখে একজন জাপানি নারী পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ে করার জন্য পাঞ্জাবের রহিম ইয়ার খানে এসে পৌঁছান। তাদেরও পরিচয় ফেসবুকে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন