এক ছাত্র তারই কলেজের প্রিন্সিপালকে গুলি করে হত্যা করেছে। ক্লাসে অনুপস্থিতি থাকা নিয়ে প্রিন্সিপালের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ে নিজের শিক্ষককে গুলি করেন ওই যুবক। এ ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় চারসাদ্দা শহরে। নিহত ব্যক্তি সেখানকার ইসলামিয়া কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন।
ওই এলাকার পুলিশ প্রধান জহুর আফ্রিদি বলেছেন, কয়েকদিন অনুপস্থিতির জের ধরে কলেজের প্রিন্সিপাল সারির আহমেদের সঙ্গে ওই ছাত্রের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ওই ছাত্র তাকে গুলি করেন।
তিনি বলেন, গেলো বছর আইনমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে ইসলামাবাদে তেহরিক-ই-লাব্বাইকের অবস্থান কর্মসূচিতে ওই ছাত্র সেখানে যোগ দিয়েছিল। অজ্ঞাতনামা ওই ছাত্র সংগঠনটির সদস্য বলেও তিনি জানান।
গেলো বছরের নভেম্বরে ওই বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে প্রিন্সিপাল সারির ১৬-১৭ বছরের ছাত্রটিকে বকাঝকা করেছিলেন।
ইসলামাবাদে ওই সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে সাতজন নিহত এবং দুই শতাধিক মানুষ আহত হয়। শেষপর্যন্ত আইনমন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ওই যুবককে আটক করেছে। তার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রকে আটক করার সময়কার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, স্থানীয় পশতু ভাষায় তিনি এই হত্যাকাণ্ডের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন।
তখন তাকে বলতে শোনা যায়, আমি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছি এবং তা মেনে নিচ্ছে। এটা আল্লাহর হুকুম ছিল।
পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন খুব কঠোর। ওই আইন অনুযায়ী, মুসলিমদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নিন্দা করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন