মস্কোতে অবতরণের আগে রাশিয়া এয়ারলাইনসের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এসময় বিমানটিতে ৭১ জন যাত্রী ছিলো। এতে সকল যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উড়াল পর্বতের নিকটে আসার পরপরই বিমানটি রাডার স্ক্রিনে আর ধরে পড়ে নি।
আর ওই সময় একই পথ দিয়ে স্থানীয় সারাতভ এয়ারলাইনসের এন-১৪৮ নামের অপর একটি বিমান উড়ে যাচ্ছিলো। জরুরি সংস্থার এক কর্মী বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে জানিয়েছে, ‘বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে থাকা যাত্রীদের কারও বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।’
জানা গেছে, বিমানটিতে ছয়জন বিদেশী ক্রু ছিলো। ওই ব্যাক্তি আরো জানিয়েছেন, মস্কোর ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গ্রাম আরগুনোভোতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।খবর- বিবিসি
এর আগে ২০১৭ সালে জাপানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছিল। বিমানটিতে ১১জন আরোহী ছিল। দুর্ঘটনার পর ৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে মার্কিন রণতরি ইউএসএস রোনাল্ড রিগানের উদ্দেশে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সপ্তম নৌবহর কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, ‘ইউএসএস রোনাল্ড রিগান তল্লাশি ও উদ্ধারাভিযান শুরু করেছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনো জানা যায়নি।’
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইতসুনোরি অনোদেরা সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইঞ্জিনে সমস্যার কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মার্কিন নৌবাহিনী তাকে অবহিত করেছে।
সি-২ গ্রেহন্ড পরিবহন বিমানটি স্থল ঘাঁটি থেকে কর্মকর্তা, ডাক ও অন্যান্য পণ্যসামগ্রী নিয়ে রোনাল্ড রিগানে যাচ্ছিল।
সিঙ্গাপুরের কাছে একটি তেল ট্যাংকারের সঙ্গে মার্কিন নৌবাহিনীর গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের সংঘর্ষে নিখোঁজ ১০ সেনার সবাই মারা গেছে। সংঘর্ষের এক সপ্তাহ পর এসব সেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনী এ খবর নিশ্চিত করেছে।
মার্কিন সপ্তম নৌবহর জানিয়েছে, ইউএসএস জন ম্যাককেইন ডেস্ট্রয়ারের ভেতর থেকে এসব সেনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি নৌঘাঁটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণ তদন্ত করা হচ্ছে বলে সপ্তম নৌবহর থেকে জানানো হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ইলেক্ট্রিক টেকনিশিয়ান। এ ঘটনায় পাঁচজন নাবিক আহত হয়েছিল।
২১ আগস্ট ভোরে মালাক্কা প্রণালীতে মার্কিন এ ডেস্ট্রয়ারের সঙ্গে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাংকারের ধাক্কা লাগে। মালাক্কা হচ্ছে জাহাজ চলাচলের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম প্রধান ব্যস্ত রুট। মার্কিন ডেস্ট্রয়ারের চেয়ে অন্তত তিনগুণ বড় ছিল তেলবাহী ট্যাংকারটি। সংঘর্ষে ডেস্ট্রয়ারের বিরাট অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।
চলতি বছর এ নিয়ে এশিয়া অঞ্চলে চারবার মার্কিন যুদ্ধজাহাজ সংঘর্ষের কবলে পড়ল। দুই মাস আগে জাপানের উপকূলে আরেকটি বাণিজ্যিক জাহাজের সঙ্গে মার্কিন যুদ্ধজাহাজের সংঘর্ষ হয় এবং তাতে সাত সেনা মারা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন