ধর্ম পরিচয়ের চেয়ে সন্তান প্রেম যে অনেক বড়, সেটাই প্রমাণ করলেন ভারতের উত্তরখান্ড প্রদেশের দেরাদুন শহরের এক মুসলিম পরিবার।
হিন্দু পরিবার থেকে দত্তক নেয়া ছেলেকেও যে তারই ধর্ম এবং সংস্কারে বড় করে তোলা যায়, সে দৃষ্টান্ত আগেই তৈরি করেছিলেন দেরাদুনের বাসিন্দা মঈনুদ্দিন এবং তার স্ত্রী কওসার।
এ বার তার বিয়েও দিলেন হিন্দু রীতি মেনেই। গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিয়ে হয় রাকেশ রাস্তোগি নামে ওই যুবকের। তার স্ত্রী সোনি হিন্দু পরিবারের মেয়ে।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে রাকেশ বলেছেন, ‘শৈশব থেকেই আমি দোল, দিওয়ালিসহ হিন্দুদের যাবতীয় উৎসব-পার্বণে অংশে নিয়েছি। আব্বা-আম্মু কখনও আপত্তি করেনি। ওরা আমাকে খুব ভালোবাসেন এবং যে কোনও কাজেই উৎসাহ দিয়েছেন। এমনকী আমার বিয়েতেও।’
রাকেশের যখন ১২ বছর বয়স, তখন তাকে দত্তক নিয়েছিল মঈনুদ্দিন দম্পতি। ছোট থেকে হিন্দু সংস্কৃতি মেনেই রাকেশকে বড় করে তুলেছিলেন তারা। কখনও তার ওপর ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়া হয়নি। তাই দোলের রং হোক বা আলোর উৎসব- নিজের বাড়িতেই পালন করেছেন রাকেশ।
তার কথায়, 'আমি বুঝতেই পারিনি একটি মুসলিম পরিবারে বেড়ে উঠছি। পূজাও নিজের মতো করে করতাম।'
এই উপমহাদেশে যখন ধর্ম-ভাষা-সংস্কৃতির বিভাজন নিয়ে একটা অংশ মাতোয়ারা, তখন দেরাদুনের ওই ছোট্ট পরিবারে ঘটে গেল নিঃশব্দ বিপ্লব।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন