পারস্যের কবি শেখ সাদী’কে একবার তাঁর এক ভক্ত জিজ্ঞেস করেছিল- ‘আপনি দর্শন শিখেছেন কার কাছে? কবি অকটপে উত্তরে বলেছিলেন- ‘অন্ধের কাছে’। শেখ সাদী অন্ধের কাছে দর্শন শেখার ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন সেদিন। তার যুক্তি ছিল এমন- অন্ধ কখনও রাস্তায় হোঁচট খায় না। কারণ সে জানে সে অন্ধ। তাই সে চলার পথে সবসময় সাবধানী হয় ও নিশ্চয়তা নিয়ে পা বাড়ায়।
'মিসেস কানাডা গ্লোব প্রেজেন্ট' সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকরা বিজয়ী নির্বাচিত করতে এবার এক অভিনব কৌশল নিলেন। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, সঙ্গে একজন নারীর চিন্তা-ভাবনা, দর্শন এবং ব্যক্তিত্বও বিবেচনা করা হয় বিজয়ী নির্ধারণের ক্ষেত্রে।
আর তাই এই প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ সুন্দরী বাছাইয়ে বিচারক করা হলো একজন অন্ধ নারীকে। বিচারক প্যানেলে থাকা এই নারীর নাম অ্যাশলে নেমথ।
বিষয়টি যে কাউকে চমকে দিতে পারে। অনেকেই বলতে পারেন- অন্ধ আবার সুন্দরী প্রতিযোগিতার বিচারক হন কী করে।
তবে গত ৩১ বছর ধরে অন্ধত্ব নিয়ে জীবনযাপন করা নেমথ নিজের সম্পর্কে বলেন, ‘যখন আমার কাছে প্রথম প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে বসার প্রস্তাব এল, তখন তিনি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না যে ঠিক কী করা উচিত? তারপর ভাবলাম, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক হয় না, আসল সৌন্দর্য হয় মনের। আর সেভাবেই তিনি 'মিসেস কানাডা গ্লোব প্রেজেন্ট' এর বিজয়ী নির্বাচিত করবেন।’
'মিসেস কানাডা গ্লোব প্রেজেন্ট' এর পরিচালক কিম অ্যাসলে নেমথের ছয় বিচারকের একজন হওয়া নিয়ে ভীষণ উৎসাহী। কিম বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা যেকোন বয়সী, আকৃতি, রঙ কিংবা প্রতিবন্ধী নারীদের উৎসাহিত করতে চাই।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন