দক্ষিণ আমেরিকার দ্বীপরাষ্ট্র পেরুতে যাত্রীবাহী দ্বিতল একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ৪৪ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে এ দুর্ঘটনায় কতোজন আহত হয়েছেন সে পরিসংখ্যান জানা যায়নি।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় ওকোনা শহরের প্যান-আমেরিকান হাইওয়েতে (প্রধান মোটরওয়ে) স্থানীয় সময় বুধবার (বৃহম্পতিবার প্রথম প্রহর) রাত দেড়টা নাগাদ এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ২৬০ ফুট নিচে পড়ে যায়।
আরিকুইপা পুলিশের প্রধান জেনারেল ওয়াল্টার ওরতিজ প্রাণহানির সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। প্রাথমিক টুইটার অ্যাকাউন্টে ৩৫ জনের প্রাণহানির খবর জানিয়েছিলো দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুর্ঘটনার স্থান আরিকুইপা পৌঁছানের চার ঘণ্টা আগে চালা থেকে যাত্রীদের নিয়ে বাসটি ছেড়ে আসে। রে লাতিনো লাইন নামে একটি পরিবহন কোম্পানির তত্ত্বাবধানে বাসটি চলাচল করতো।
উদ্ধারকারী দল পুলিশ ও অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ঘটনার পরপরই উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছেন।
দুর্ঘটনার নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে টুইটার পোস্ট দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো কুজিস্কি।
গত ২ জানুয়ারি দেশটিতে অপর এক সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৫২ জনের প্রাণহানি হয়। এক মাসের ব্যবধানে বুধবারের ঘটনাটি দ্বিতীয় বৃহত্তম।
সবশেষ প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে পেরুতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত দুই হাজার সাতশ’ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
পেরুর কুখ্যাত ‘শয়তানের বাঁক’ থেকে বাস খাদে, নিহত ৩৬
লিমা: পেরুর রাজধানী লিমার উত্তরে পায়ামাসোর কার্ভা ডেল ডায়াব্লোত (শয়তানের বাঁক) থেকে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনা পুরো দেশের জন্যই শোকের বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পেদ্রো পাবলো।
গতকাল শয়তানের বাঁকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশান্ত মহাসাগরের পাশে এই রাস্তাটিই পেরুর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাস্তা।
দেশটির পরিবহণ প্রধান জানান, ৫০ জন যাত্রী বহনকারী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ১০০ মিটার নিচের সমুদ্র সৈকতে পড়ে যায়। হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার কাজ তদারকি করা হচ্ছে। তবে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করা হবে।
সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ছয়জনকে গুরুতর আহত আবস্থায় বাসটির ভেতর থেকে টেনে বের করা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পেরুর গিরিখাতে নিখোঁজ মার্কিনীর লাশের সন্ধান
পেরুর পাহাড়ের গভীর খাতে ২০১৭ সালের ২৮ জুন নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকের লাশ পাওয়া গেছে। তিনি প্রাচীন ইনকার রাজধানী কাসকো থেকে নিখোঁজ হন।
পুলিশ এ খবর জানিয়েছে। ২৪ বছর বয়সী ওই মার্কিন নাগরিকের নাম সেথ থমাস।
শুক্রবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তার লাশ পেরুর দক্ষিণাঞ্চলীয় পর্যটন কেন্দ্র কাসকোর আপু পিকোল পর্বতের ৩০০ মিটার খাদে পাওয়া গেছে।
তার সঙ্গী অপর মার্কিন নাগরিক ক্যারেন আনাবেল অ্যাসেপভেদো সাংবাদিকদের বলেন, থমাস কাসকোর একটি ক্লিনিকের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন