ভারত সীমান্তে মোতায়েন পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)’র একটি শাখাকে যুক্তরাষ্ট্রের আদলে শক্তিশালী ‘ইন্টিগ্রেটেড ইনডিভিজ্যুয়াল সোলজার কমব্যাট সিস্টেম’ দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে। এর লক্ষ্য ইউনিটটিকে ভবিষ্যতের ‘ইনফরমাটাইজড ওয়ারফেয়ার’-এর জন্য প্রস্তুত করা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সামরিক বাহিনীতে ‘ইনফরমাটাইজড ওয়ারফেয়ার’ পরিভাষা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটাল ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বুঝাতে এই পরিভাষা ব্যবহার করা হয়।
পিএলএ’র ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের শাখা ‘স্কাই উলফ কমান্ডো’ বাহিনীর প্রশিক্ষণে কিউটিএস-১১ সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ভারতের সঙ্গে ৩,৪৮৮ কি.মি. দীর্ঘ সীমান্ত- লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল (এলএসি) রক্ষার দায়িত্ব ওয়েস্টার্ন কমান্ড থিয়েটারের ওপর।
চীনা বিশেষজ্ঞদের মতে কিউটিএস-১১ সিস্টেমটি মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত সিস্টেমের অনুরূপ।
চীনের সামরিক বিশেষজ্ঞ শোং ঝংপিং রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকাকে বলেন, কিউটিএস-১১ সিস্টেমকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘ইন্ডিভিজুয়াল ফায়ারপাওয়ার’ বলা যায়। শুধু আগ্নেয়াস্ত্রই নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ডিজিটালাইজড ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডিভিজুয়াল সোলজার কমব্যাট সিস্টেম। এতে ডিটেকশন এন্ড কমিউনিকেশন সিস্টেমও সংযুক্ত রয়েছে।
এই সিস্টেমে রয়েছে একটি এসল্ট রাইফেল ও ২০-মিলিমিটার গ্রেনেড ল্যান্সার, যেগুলো এন্টিপার্সোনেল টার্গেট ধ্বংস করতে সক্ষম।
এই সিস্টেমে সজ্জিত প্রতিটি সেনার থাকবে একটি থার্মাল ইমেজার এবং অপটোইলেক্ট্রনিক এন্ড পজিশনিং সিস্টেম। কিউটিএস-১১ সিস্টেমের ওজন সাত কেজির মতো।
সং বলেন, ‘ডিজিটালাইজড আর্মির একমাত্র অংশ হলো ‘ইনডিভিজুয়াল সোলজার কমব্যাট সিস্টেম।’ বিভিন্ন দেশ এই সিস্টেম তৈরির চেষ্টা করছে। ভবিষ্যৎ ইনফরমাটাইজড ওয়ারফেয়ার জন্য ‘ইন্টিগ্রেটেড ইন্ডিভিজুয়াল সোলজার কমব্যাট সিস্টেম’ গ্রহণ করা হচ্ছে।
সং বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের কিউটিএস-১১ সিস্টেম একই তবে তুলনাযোগ্য নয়। সিস্টেমের সামর্থ্য নির্ভর করছে কিভাবে এটি ব্যবহার করা হবে তার ওপর।
ভারত সীমান্তে চীনের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে বলে কয়েক দিন আগে খবর প্রকাশের পর দেশটির সরকারি মিডিয়ায় নতুন সিস্টেম মোতায়েনের খবর প্রকাশ পেলো। সামরিক পর্যাবেক্ষকরা পিএলএ’র এই তৎপরতাকে ভারতের বিরুদ্ধে মানসিক যুদ্ধ বলে অভিহিত করছেন।
একজন বিশেষজ্ঞের উদ্ধৃতি দিয়ে গ্লোবাল টাইমস ইতোপূর্বে জানায় যে বিমান প্রতিরক্ষা জোরদারের অংশ হিসেবে জে-১০ ও জে-১১ এর মতো জঙ্গি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত নতুন জঙ্গিবিমান সংগ্রহের চেষ্টার প্রেক্ষাপটে দেশটির কাছ থেকে সৃষ্ট হুমকি মোকাবেলার উদ্যোগ নেয় চীন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন