চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী প্রশাসক হিসেবে নিজের অসহায়ত্ব ও ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের আধিপত্যের কথা তুলে ধরেছেন। গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কর্মীরা হাতে এমনসব রামদা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করে, দেখে নিজেরই ভয় লাগে। পুলিশ ডাকলে ঠিক সময় পাওয়া যায় না।পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চবিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সিইউজে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচি দেয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী গত শুক্রবার সিইউজে কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সংঘাত ও আবাসিক হলে পুলিশের তল্লাশির বর্ণনা দিয়ে বলেন, হলে তল্লাশি চালানোর কারণে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে অবরোধ ডাকে। অথচ ওইদিন হলে তল্লাশি না চালালে কয়েকটা লাশ পড়তে পারত।ছাত্রলীগের অন্তর্কোন্দল বড় অদ্ভুত। দেখা গেল, এখন সবাই মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে আবার কিছুক্ষণ পরই তারা কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়ে হানাহানি শুরু করে। সন্ধ্যায় দেখা যায় আবার একসঙ্গে আড্ডার টেবিলে।
উপাচার্য সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামলের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সিইউজের নির্বাহী সদস্য উত্তম সেনগুপ্ত, চবিতে হামলার শিকার দুই সাংবাদিক সময় টিভির পার্থ প্রতীম বিশ্বাস ও যমুনা টিভির আরিফুর রহমান সবুজ প্রমুখ।উপাচার্যের আশ্বাসের পর সিইউজে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে।
purboposhchim
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন