দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি হলো কানাডায় ইমিগ্রেশন। সব শুনে মনে হতে পারে যে, কানাডাও হয়তো আমেরিকার মতো ডিভি চালু করেছে। আসলে বিষয়টি এমন নয়।
প্রকৃতপক্ষে যোগ্য দক্ষ কর্মী এবং পেশাজীবীরাই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এর আগেও দেশটিতে অনেকে স্থায়ী হয়েছেন, কিন্তু বর্তমানে শর্ত অনেক শিথিল হওয়ায় সুযোগ বেড়ে গেছে। কানাডায় দক্ষ লোকজনের প্রয়োজন দেখা দেওয়ায় আগামী তিন বছরে তারা প্রায় ১০ লাখ নতুন অভিবাসীদের বসবাস ও কাজ করার সুযোগ তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা ও আশপাশের শহরে গজিয়ে ওঠা কনসালট্যান্সি ফার্মগুলো এই সুযোগে সাধারণ মানুষদের প্রতারিত করছে। কেউ কেউ জব ভিসার নামে শুধু মেডিকেল ভিসার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। আবার কেউ প্রসেসিং ফির নামে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
কানাডার ইমিগ্রেশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেতে কথা হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ অ্যাডভোকেট আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, দ্ক্ষ ও সংশ্লিষ্ট পেশায় অভিজ্ঞ লোক ছাড়া কোনো অবস্থাতেই কানাডায় চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ছয় মাস থেকে তিন বছরের ট্রেড স্কিল সার্টিফিকেট এবং এক থেকে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন লোকজন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করলেই আবেদন করতে পারবেন। সেখানেও রয়েছে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি। ন্যূনতম পাঁচ-ছয় মাস সময় লাগে একটি প্রক্রিয়া সফলভাবে সমাপ্ত করতে। কারণ, বাংলাদেশি আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অনেক সময় কানাডার দূতাবাস নতুন করে সাপোর্টিং ডকুমেন্টস চায়, সে ক্ষেত্রে সময় আর একটু বেশি লাগে।
প্রচলিত এক্সপ্রেস এন্ট্রি, নতুন নতুন পিএনপি এবং ট্রেড স্কিল প্রোগ্রামের আওতায় কানাডা সরকার তাদের চাহিদা পূরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশিদের এই সুযোগ নেওয়া উচিত। আগ্রহীরা একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে ফাইলটি প্রসেস করতে পারেন। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে আবেদন ও ফলোআপ করার মধ্যেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কানাডা ইমিগ্রেশনের খুঁটিনাটি বিষয় জানতে Worldwide Migration Consultants Ltd-এর চিফ কনসালট্যান্ট আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মূলত ট্রেড স্কিল্ড ও হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি যোগ্য লোকজন কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন।
হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশন
এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি দুই উপায়ে আবেদন করে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়। ৩৫ বছর বয়স, ভাষার জন্য আইইএলটিএস পরীক্ষায় স্কোর ৭, মাস্টার্স বা অনার্স ডিগ্রি এবং সঙ্গে এক বছরের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক কম খরচে এক্সপ্রেস অ্যান্টির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।
আইইএলটিএসে স্কোর কম থাকলে এবং বয়স একটু বেশি হলে নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীরা পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। এ বিষয়ে দক্ষ আইনজীবীর সহায়তার কোনো বিকল্প নেই।
ট্রেড স্কিল্ড প্রোগ্রাম
অতি সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণামতে, আগামী তিন বছরে এই প্রোগ্রামসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবে। তবে যেহেতু কানাডায় ট্রেড স্কিল্ড-এ কাজের সুযোগ বেশি এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয়, সুতরাং শুধু এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবে। এটি একটি নিশ্চিত প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে আবেদনকারীগণের IELTS-এর প্রয়োজন পড়বে না। শুধু শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ট্রেড স্কিল্ড সার্টিফিকেট, পুলিশ ও মেডিকেল ক্লিয়ারেন্স থাকতে হয়। তবে আবেদনকারীগণের বয়স ৩৯ বছরের মধ্যে হতে হবে। প্রচুর বেতন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হওয়ার অপার সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রাম অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশাজীবীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।
কানাডা ইমিগ্রেশন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ বিষয়ে তাঁর মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু প্রকৃতপক্ষেই যারা যোগ্যতা রাখে, তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না। ২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকজনের কোটা অনেক বেশি, সুতরাং আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। তবে অযোগ্য কোনো ব্যক্তি যেন অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না করেন, সে অনুরোধ করেন তিনি।
আগ্রহী ব্যক্তিরা এ বিষয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল info@worldwidemigration.org ঠিকানায় ।
এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে। ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁ জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি এসে খোঁজ নিতে পারেন। ফোনে প্রাথমিক তথ্যর জন্য কথা বলতে পারেন ০৯৯৬৬০৪১৫৫, ০১৯০৪০৩৬৮৯৯, ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০, ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, ০১৯৬৬০৪১৩৩৩ নম্বরে। হাল নাগাদ তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন www.facebook.com/WorldwideMigrationConsultantsLtd ফেসবুক পাতায়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন