হিমালয় কন্যা নেপালের বিখ্যাত পর্যটন শিল্পে থাবা বসছে চীন। ভারতকে চারদিক থেকে ঘিরে বিপাকে ফেলতেই নাকি চীনের এই নতুন কৌশল। এমনটাই মত ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের। ওদিকে নেপালে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চীনা মুদ্রার আমদানিও।
নেপাল ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও দীপক রাজ জোশী বলছেন, ভারতের পর নেপালে এখন সবচেয়ে বেশি পর্যটক আসছেন চীন থেকেই। ২০১৫ সাল থেকে নেপালে প্রতি বছর চীনা পর্যটক ও মুদ্রার আমদানি বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। গত ৩ বছরে পাহাড়ি দেশটিতে ২০-৩০% করে (প্রতি বছর) বেড়েছে চীনাদের যাতায়াত। অথচ, প্রায় এক দশক আগেও প্রতি বছর নেপালে মাত্র ৩০ হাজার চীনা পর্যটক আসতেন।
এখন প্রতি বছর অন্তত লাখ খানেক পর্যটক আসছেন সে দেশে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চীনা নাগরিকদের নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে নেপাল সরকার। বাড়ছে চীনাদের জন্য সুযোগ সুবিধা। হিমালয়ের কোলে ছোট্ট দেশটির অর্থনীতিও প্রভাবিত হচ্ছে চীনের নানা কৌশলী পদক্ষেপে।
এমনিতে নেপালে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যান ভারত থেকেই। গতবছর ১ লাখ ৬০ হাজার ভারতীয় পর্যটক নেপালে গিয়েছেন। চীন থেকে গিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার। কিন্তু ভারতীয় ও চীনা পর্যটকদের মধ্যে সংখ্যার এই ফারাকটা কমে আসছে দ্রুতই।
জোশী বলছেন, ‘এবছর আমাদের দেশে ভারত থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার পর্যটক আসবেন বলে খবর পেয়েছি। আর চীন থেকে আসবেন ১ লাখ ৩৫ হাজার।’
খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, দুই দেশের পর্যটকদের ফারাকটা প্রায় ৬০ হাজার থেকে কমে হতে চলেছে ৩৫ হাজার। প্রতি বছরই এই ফারাক আরো কমে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে নেপালের উপর পরোক্ষে ভারতের যে প্রভাব ছিল, সেটা ক্রমশই আলগা হচ্ছে।
চীন-প্রীতির জন্য বিখ্যাত নেপালের বর্তমান কমিউনিস্ট প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি। তাঁর আমলেই ভারতের ওপর নির্ভরতা কাটিয়ে নেপাল আরও বেশি চীনের দিকে ঝুঁকছে। আর একবার লুম্বিনি রেলপথের কাজ শেষ হলে চীন থেকে প্রায় ২৫ লাখ পর্যটক সে দেশে যেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন