রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবেলার জন্য এবার দেশটির দোরগোড়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়াকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন এ পরিকল্পনা করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন। আলেক্সান্ডার ফোমিন রাশিয়ার একটি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা বলেছেন।তিনি বলেন, ‘রাশিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা দিয়ে ঘিরে ফেলার লক্ষ্যে বড় ধরনের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া, ক্যালিফোর্নিয়া ও আলাস্কায় এরইমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।’
ফোমিন বলেন, ‘রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মোট ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হবে।’
পূর্ব ইউরোপের পাশাপাশি জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় মোতায়েন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে রাশিয়াবিরোধী বলয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ওয়াশিংটন যখন ইউরোপীয় দেশগুলোতে নিজের ক্ষেপনাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করছে তখন রাশিয়ার উপ প্রতিক্ষামন্ত্রী এ অভিযোগ করলেন।
গত বছর রাশিয়ার সীমান্তবর্তী লিথুয়ানিয়ায় দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা ‘প্যাট্রিয়ট’ মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র।
বাল্টিক প্রজাতন্ত্রগুলোতে ন্যাটো জোটের বিশাল সামরিক মহড়ায় ব্যবহার করার অজুহাতে ওই ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়। এর আরো অনেক আগে থেকে পোল্যান্ডে একই ব্যবস্থা মোতায়েন রয়েছে।যুগান্তর ইউরোপীয় কূটনীতিকদের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ইরান আঞ্চলিক প্রভাব নিয়ে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে কোনো রকমের আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছে ইরান। রোববার সকালে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি একথা বলেছেন। খবর পার্সটুডের।মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূমিকা নিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইরান আলোচনা শুরু করেছে বলে পশ্চিমা কয়েকজন কূটনীতিক সম্প্রতি দাবি করেছেন। এরপর বাহরাম কাসেমি তাদের দাবি প্রত্যাখ্যান করে এ বক্তব্য দিলেন।
কাসেমি বলেন, ইরান এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশ বহু বছর ধরে আঞ্চলিক বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব সম্পর্কে কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা নতুন কোনো বিষয়ও নয়।
কাসেমি জানান, সম্প্রতি মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে ইউরোপের কয়েকটি দেশের সঙ্গে ইয়েমেন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছে ইরান। তবে সে আলোচনা ইয়েমেনে মানবিক ত্রাণ পাঠানো ও দারিদ্রপীড়িত দেশটির ওপর সৌদি আরবের বর্বর সামরিক আগ্রাসন অবসানের বিষয়ে সীমাবদ্ধ ছিল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন