ভারত ও ইসরাইলের সুবিধার্থে নিজের আকাশসীমা খুলে দিতে সম্মত হয়েছে সৌদি আরব। মূলত ইসরাইলে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চলাচলের সহজার্থে দুই দেশের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।
ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান সরাসরি তেল আবিবে আসার সুবিধার্থে সৌদি আরব নিজেদের আকাশসীমা খুলে দিতে রাজি রয়েছে।
এতদিন সপ্তাহে চার দিন করে মুম্বাই ও তেল আবিবের মধ্যে বিমান যোগাযোগ হত। সৌদি আরবের আকাশপথ ব্যবহারের অনুমতি না থাকায় বিমানগুলো ইথিওপিয়া ঘুরে যাতায়াত করতে হত। এর মাধ্যমে ভারতের সাথে সুসম্পর্কের একটি বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুরাষ্ট্র হলেও সৌদি আরবের আকাশসীমায় ৭০ বছর ধরে ইসরাইলি বিমানের প্রবেশাধিকার ছিল না। আকাশসীমা খুলে দেয়ার বিষয়টা যদিও স্পষ্ট করে কিছু বলছে না সৌদি প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে অন্যমাত্রা যোগ করবে বলে মত দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।
গাজা সীমান্তে ক্ষতিকর রাসায়নিক ছিটিয়েছে ইসরাইল
ফিলিস্তিনের গাজা সীমান্তে ইসরাইল ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বা উদ্ভিদনাশক (হার্বিসাইড) ছিটিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। রোববার ক্ষতিকর এই পদার্থ ছিটানো হয়।
নাজির আল-ওয়াহেদি নামের ফিলিস্তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা তুর্কি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আনাদলুকে বলেন, ‘ইসরাইলের ছিটানো ওই উদ্ভিদনাশক ফসল ও কৃষি জমির জন্য ক্ষতিকর।’
ফিলিস্তিনিদের জমিতে ওই ক্ষতিকর পদার্থ ছিটানোর কোনো অধিকার ইসরাইলের নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইসরাইলের এনজিও গিশা-এর মতে, এই উদ্ভিদনাশক ছিটানোর উদ্দেশ্য হলো, ফিলিস্তিনি সীমান্তে অপ্রয়োজনীয় ঘাস না রাখা।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৪৪ হাজার ফিলিস্তিনি কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ফিলিস্তিনের যে কর্মক্ষম লোক রয়েছে কৃষকরা তার ১১ শতাংশ।
প্রায় ১০ লাখ লোক বাস করে গাজায়। আর ২০০৭ সাল থেকে এই গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরাইল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন