নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির ডেটা রেকর্ডার বা ব্লাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। এই রেকর্ডারে ধারণ করা কথোপকথনই বলে দিতে পারে- আসলে কী কারণে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কারণ উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের ব্যাপারে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ একে অপরকে দুষছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নেপালি কর্তৃপক্ষ বলছে, ফ্লাইট ২১১-কে রানওয়ের দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণ করতে বলা হলেও পাইলট উত্তর দিক থেকে অবতরণ করে।
কিন্তু ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স সেই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে পাইলটকে ভুল নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
ত্রিভুবন বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস মঙ্গলবার বলেছে, তারা উদ্ধার হওয়া ডেটা রেকর্ডার সংরক্ষণ করেছেন এবং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
রাজ কুমার চেত্তি নামে বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার বলেন, ‘ফ্লাইটটির ডেটা রেকর্ডার উদ্ধার করা হয়েছে এবং আমরা সেটি নিরাপদে সংরক্ষণ করেছি। পাশাপাশি উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালের পর নেপালে এটিই সবচেয়ে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনা। ওই বছর পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৭ জন প্রাণ হারায়।
উল্লেখ্য, কানাডাভিত্তিক বোম্বারডিয়ার কোম্পানির কিউ৪০০ সিরিজের ওই উড়োজাহাজটি গতকাল ক্রসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যায়। কিন্তু রানওয়েতে অবতরণ করতে গিয়ে সেটি বিধ্বস্ত হয় এবং আগুন ধরে যায়।
এ ঘটনায় সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ২১ জন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন