সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য আফরিন শহর ঘিরে রেখেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী ও তাদের সহযোগী বিদ্রোহী যোদ্ধারা। সেখানকার দক্ষিণ-পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকাও এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছে তুরস্কের সেনাবাহিনী।
জানুয়ারি মাসে সেখানে শুরু হওয়া তুরস্কের সামরিক অভিযানের জন্য এটি একটি মাইলফলক।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি অফ হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর) মঙ্গলবার খবরটি নিশ্চিত করেছে।
একটি কুর্দি সুত্র বিবিসিকে জানিয়েছে, তুরস্কের সেনাবাহিনী শহরটির সব প্রবেশ পথে গোলাবর্ষণ করছে।
গত সপ্তাহে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান বলেছিলেন, তুরস্কের সেনাবাহিনী ও সহযোগী সিরীয় বিদ্রোহী দল যেকোনো মুহূর্তে আফরিনে প্রবেশ করতে পারে।
সিরিয়ার বিদ্রোহী দল ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সঙ্গে যৌথভাবে জানুয়ারি মাসে আফরিনে সামরিক অভিযান শুরু করে তুরস্ক। তারা যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত কুর্দিশ পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটসকে (অয়াইপিজি) শহরটির সীমান্ত থেকে সরিয়ে দিতে চাইছে।
কুর্দিশ ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়ন পার্টির (পিঅয়াইডি) সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন ওয়াইপিজি-কে সন্ত্রাসী দল বলে অভিহিত করছে তুরস্ক। নিষিদ্ধ কুর্দিশ ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) সঙ্গে এই সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে বলে মনে করছে তারা।
পিকেকে প্রায় তিন দশক ধরে স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের দাবিতে তুরস্কের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই চালিয়েছে, যাতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।
এসওএইচআর সোমবার বলেছে, আফরিনের শত শত বেসামরিক মানুষ তুর্কি বাহিনীকে এগিয়ে আসতে দেখে ইতোমধ্যেই সেখান থেকে পালিয়ে গেছে।
পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানিয়েছে, তুরস্কের সীমান্তের কাছে ওয়াইপিজি নিয়ন্ত্রিত শহর আফরিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষের বসতি রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন