সেদিন একটি অটোতে বাড়ি ফিরছিলেন সরলাদেবী নামে এক স্কুলশিক্ষিকা। কিন্তু বাসায় ঢোকার পর তিনি দেখতে পান তার টাকাভর্তি ব্যাগ ও জরুরি কাগজপত্রসহ সবকিছু অটোতে ফেলে এসেছেন। উপায়ান্তর না দেখে পুলিশের কাছে যাবেন বলে ভাবছিলেন এমন সময় অটোচালক অমিত ফিরে এসে তার হারিয়ে যাওয়া টাকা ও অন্যান্য জিনিস ফিরিয়ে দেন।
তার ব্যাগে ৮০ হাজার টাকা, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, আধার, প্যান, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বাড়ির চাবি, লকারের চাবি, দুটি সেলফোন ও গাড়ির কাগজপত্র ছিল। এসব জিনিসপত্র ফিরে পেয়ে আনন্দে চালকের পরিচয় জানতে ভুলে যান। এরপর থেকে তিনি ওই অটোচালককে খুঁজতে থাকেন।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে অমিত গুপ্তকে খুঁজে চলেন সরলাদেবী। সবশেষ গত সপ্তাহের শুরুতে তার খোঁজ পান সরলাদেবী। এ সময় সরলাদেবী তাকে নিজের স্কুলে আমন্ত্রণ জানান। কথা বলে জানতে পারেন যে, অমিতের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ভালো নয়। দুই সন্তানকে তিনি স্কুলেও পাঠাতে পারেন না অর্থের অভাবে।
এতো গরিব হওয়া সত্ত্বেও অমিত গুপ্ত যে তার সব টাকা ফেরত দিয়েছিলেন, তার জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন সরলাদেবী। অমিতকে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন। পাশাপাশি, তার দুই সন্তানের পড়াশোনার ব্যবস্থাও করে দেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
সংবাদমাধ্যমকে সরলাদেবী জানান যে, তিনি নিজে একজন শিক্ষিকা হয়ে এই কাজ তার দায়িত্ব বলেই তিনি মনে করেন।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন