রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফা ভোট আজ রবিবার (১৮ মার্চ)। ২০১৪ সালের এই দিনেই ক্রাইমিয়া দখল করে রাশিয়া।
রাশিয়ার এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনসহ প্রার্থী আটজন। দাঁড়িয়েছিলেন ৭০ জন, এর মধ্যে যোগ্য বিবেচিত হয়েছেন এ আটজন। তবে বাকি সাতজনের মধ্য থেকে কেউই পুতিনকে শক্ত প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলতে পারবেন, এমনটা রাশিয়ার জনগণ মনে করছে না। নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন জরিপ ফলাফলে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ার বেশির ভাগ নাগরিক মনে করেন, এদের কেউ পুতিনের ফের নির্বাচিত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
ফলাফল যেহেতু আগে থেকেই জানা, তাই বোধ হয় নির্বাচন ঘিরে রাশিয়াবাসীর উৎসাহ কিছুটা কম। তবে থেমে নেই প্রচার-প্রচারণা। বলাই বাহুল্য এটি পুতিনের পক্ষেই বেশি হচ্ছে। ২০১২ সালের নির্বাচনে স্থানীয় সময় ৭টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়, এবং এর প্রায় ২ ঘণ্টা পর পুতিন নিজেকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
১৯৯৯ সালে রাশিয়ার তত্কালীন প্রেসিডেন্ট ইয়েলিসনের হাত ধরে প্রথমে ভারপ্রাপ্ত পরে দেশটির পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী হন পুতিন। এরপর বাকিটা ইতিহাস। ১৯৯৯ সালের শেষ দিনে প্রেসিডেন্ট ইয়েলিসন অপ্রত্যাশিতভাবে পদত্যাগ করলে দেশটির সংবিধান অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন পুতিন। ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। ২০০০ থেকে ২০০৪ এবং ২০০৪ থেকে ২০০৮।
রাশিয়ার সংবিধান বলছে কোনো প্রেসিডেন্ট পরপর দুই বছরের বেশি থাকতে পারবে না। তাই ২০০৮ সালে দিমিত্রি মেদভেদেভকে প্রেসিডেন্ট করে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে আবার পুরনো আসনে ফেরেন পুতিন।
একই বছর সংবিধান সংশোধন করে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর করা হয়। অর্থাৎ এবার নির্বাচিত হলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন পুতিন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফা ভোট অনুষ্ঠিত হবে তিন সপ্তাহ পর, অর্থাৎ ৮ এপ্রিল। তবে দ্বিতীয় দফা ভোটের কথা তখনি আসবে, যখন নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কেউই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। আর এমনটা যে হবে, তা সম্ভবত রাশিয়ার কোনো পাগলও বিশ্বাস করবে না। কারণ এ নির্বাচনে কে জয়ী হবে, সেটা রাশিয়া তো জানেই সম্ভবত বিশ্ববাসীরও জানা। ভ্লাদিমির পুতিন, রাশিয়ার সর্বেসর্বা, আজ ও আগামীর প্রেসিডেন্ট। এর আগে মাত্র একবার দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়েছিল, সেটা হয়েছিল ১৯৯৬ সালে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন