আমেরিকার ‘কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’র ঢেউ আছড়ে পড়ল ভারতের মাটিতে। সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ তুলে বললেন, লন্ডনের যে-সংস্থার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য চুরি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোটে জেতানোর অভিযোগ উঠেছে, ২০১৯ -এর লোকসভা ভোটে জেতার জন্য সেই সংস্থারই সাহায্য নিচ্ছে কংগ্রেস। কিন্তু কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কেউটে।
কংগ্রেস এর জবাব দেওয়ার আগেই সংবাদমাধ্যমের এক রিপোর্টে প্রকাশ্যে এল, জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর ছেলে অমরিশের সংস্থা ‘ওভেলেনো বিজনেস ইন্টেলিজেন্সে’র (ওবিআই ) সঙ্গে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার (সিএ) মূল সংস্থা ‘স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনস ল্যাবরেটরিজে’র (এসসিএল ) যোগসূত্র রয়েছে। তারাই নাকি ২০১০ সালে বিহারের ভোটে বিজেপি-জেডিইউ -র হয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার কাজ চালিয়েছিল। বিতর্ক দানা বাঁধতেই সাসপেন্ড হয়ে যায় ওবিআইয়ের ওয়েবসাইট। নয়া মোড় পায় বিতর্ক।
কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট উদ্ধৃত করে রবিশঙ্কর দাবি করেন, কংগ্রেস ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে জেতার জন্য সিএ-র সঙ্গে কথা বলছে। এই সংস্থা আমেরিকায় ট্রাম্পের হয়ে নির্বাচন করেছে, নাইজিরিয়া, কেনিয়ার নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে। এই সংস্থার বিরুদ্ধে তথ্য চুরি, হানিট্র্যাপ ব্যবহার করে বিরোধীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। এই সূত্র ধরেই ফেসবুককে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন, ‘সংসদ ভবনে বিজেপি নেতা হিসেবে সাংবাদিক বৈঠক করলেও আমি দেশের আইন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী। ভোট প্রভাবিত করার জন্য ফেসবুক-সহ সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার বরদাস্ত করব না। ফেসবুক মালিক মার্ক জুকারবার্গ শুনে রাখুন, তথ্যচুরি বরদাস্ত করব না। প্রয়োজনে কঠোরতম ব্যবস্থা নেব।’এই সময়
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন