মো: বজলুর রশীদ
মিসরের প্রেসিডেন্ট সিসি ২০১৩ সালে ক্যুর মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন এবং আজো ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিসরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুরসিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরিয়ে দেয়ার বছরখানেক পর ২০১৪ সালে পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় বসেন সিসি। আর মাত্র কয়েকদিন পর অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের মাধ্যমে খুব সহজেই আবার ক্ষমতাকে তিনি ধরে রাখবেন। নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতার সুযোগ দিলে অনেকেই এগিয়ে এলেও ‘মিসরীয় গোখরা’ দেখে সবাই পালাতে শুরু করেন।
প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়ার পর মিসরের সাবেক জেনারেল ও চিফ অব স্টাফ সামি আননকে সেনা কর্তৃপক্ষ আটক করে। তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘উত্তেজনাকর’ বক্তব্য প্রচারের এবং সরকারি নথি জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়। সেনা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘ফরমালি’ চাকরি শেষ করে সেন্ট্রাল কমান্ড থেকে অনুমতি নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে। একই সাথে তার তিনজন সহযোগী সেনা অফিসারকেও আটক করা হয়। সামি আনন সেনাবাহিনীর ভেতরে ও বাইরে খুবই জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমদ শফিক, তারও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা। তিনি দীর্ঘ দিন আরব আমিরাতে বসবাস করছেন, তিনি দাঁড়ানোর কথা বলেও পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে জানিয়েছেন। শফিক আননের মেয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার প্রস্তুতি শুরু হলে তিনি সরে দাঁড়ান। এরপর জনপ্রিয় মানবাধিকার কর্মী খালিদ আলী। তিনিও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। আহমদ কনসুয়া নামে কম পরিচিত এক সেনা অফিসারও নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্য ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন। তাকে গ্রেফতার করে কোর্ট মাশালে দেয়া হয় এবং ‘মিলিটারি কোড’ ও ‘রাজনৈতিক ভিডিও বার্তা’ প্রচারের জন্য ছয় বছরের জেল দেয়া হয়। গত তিন বছর ধরে তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আসার জন্য কয়েকটি আইনি লড়াই লড়ছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট আনওয়ার সাদাতের ভাগিনা মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাতও নির্বাচনী দোরগোড়ায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনিও নেই। চৌকস সেনা অফিসার হিসেবে পরিচিত এম হাতাতা, সেনা কর্মকর্তা ওসমান আসকারসহ অনেক অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা এবং সিভিল সোসাইটি ব্যক্তিত্ব প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চান; কিন্তু জেল ও মামলার ভয়ে তারা নিরিবিলি অবসর জীবনকেই বেছে নিয়েছেন। এভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা কারারুদ্ধ হলে সিসি একক ঘোড়ার দৌড়ে বিজয়ী হয়ে মিসরের ক্ষমতায় আসবেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।
মিসর চলছে ইমার্জেন্সি আইনের মাধ্যমে। এখন মিসরের কারাগারগুলোতে ৬০ হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মী আবদ্ধ। এ অবস্থায় নির্বাচনে দাঁড়ালে কী ফলাফল আসবে তা একজন পথচারীও বলে দেবে। সিসি কি আর্মি চিফ না অটোক্র্যাট চিফ তা জনগণ বোঝে। কিন্তু প্রতিবাদ করলেই জেলে ঢুকতে হবে। এরপরও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলছেন, ‘জনগণের কথা শুনা হবে।’ এবার ভোটারের সংখ্যা ৫৯ মিলিয়ন। তবে সিরিয়া, ইয়েমেন, সোমালিয়া,, লিবিয়া ও সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকের প্রবাসীরা সেসব দেশে গোলযোগের কারণে ভোট দিতে পারবেন না।
মিসর জাতীয় নির্বাচন কর্তৃপক্ষ দুইজনকে টিকিয়েছে। একজন হলেন প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি। অন্যজন গাধ পার্টি থেকে মুসা মোস্তফা মুসা। সিসির প্রতীক ‘তারা’ মুসার প্রতীক ‘উড়োজাহাজ’। নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে যোগ্যতার জন্য হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ থেকে এবং জনগণের ‘এনডোর্সমেন্ট’ দরকার। মনে রাখতে হবে, মিসরের বতর্মান সংসদ সিসির ইচ্ছানুযায়ী হয়েছে। সিসি ৫৪৯ জন সাংসদের এবং এক লাখ ৬১ হাজার ৭০৭ সাধারণ মানুষের ও মুসা ২৬ জন সাংসদের এবং ৪৭ হাজার সাধারণের এনডোর্সমেন্ট সংগ্রহ করে দাখিল করেছেন। গত ২০১৪-এর নির্বাচনেও দুইজন ছিলেন, সিসি বিপক্ষের বামপন্থী রাজনীতিবিদ হামদিন সাবাহী থেকে ৯৭ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছিলেন। মার্চের এই নির্বাচনেও আগের ফলাফলই পাওয়া যাবে।
এখন কেউ জেলে আটক মোহাম্মদ মুরসির কথা বলেন না। ৬০ হাজার রাজনৈতিক বন্দীর মধ্যে তার দলের লোকজনই বেশি। সমালোচকেরা বলছেন, সিসি নিজেই মিসরের সমস্যার জন্য দায়ী। মিসরের অর্থনীতি খুবই খারাপ। মিসরের সেন্ট্রাল ব্যাংকের হিসাব মতে, সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও কুয়েত ২০১৩ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। গত দুই বছরে পৃথকভাবে আমিরাত একাই দিয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। সবমিলিয়ে এ পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেয়া হয়েছে। অথচ সিসি বলেন, ‘উপসাগরীয় ডোনারের কাছে ডলার ভাতের মতো।’ সিসি সরকার জিনিসপত্রের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। কোথাও কোথাও ব্যবসায়ীরা ৩০ শতাংশ করেছেন, কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
সিসির মিডিয়া ব্যাটালিয়ন রয়েছে। মিসরের বাছাই করা তরুণদের নিয়ে এই দল। বলতে গেলে মিডিয়া ব্যাটালিয়ন তার ‘ইউনিক’ সৃষ্টি। তিনি তাদের সাথে প্রতি মাসে মিলিত হন, সভা করেন। এসব যুবক মিসরের বিশিষ্টজনদের ছেলেপুলে। অভিযোগ আছে, এ যুবকেরা মিসরের সম্পদ লুণ্ঠন করছেন। এদের পোশাক দামি ও বিশ্বের দামি ব্র্যান্ডের স্প্রে ব্যবহার করেন। তাদের জন্য কাজ, চাকরি, ঠিকাদারি, তেজারতির দ্বার উন্মুক্ত। আলেক্সান্দ্রিয়ার মতো ভালো ভালো জায়গায় সিসি এদের নিয়ে সভা করেন। তিনি যে বার্তা দেন তা হলো- মিসরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হলে তার সরকারকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। নতুবা মিসর সন্ত্রাসীদের আখড়ায় পরিণত হবে।
কোনো সন্দেহ নেই, সিসি দ্বিতীয়বারের মতো সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসবেন। তার সরকার এরই মধ্যে বিরোধীদের গ্রেফতার করেছে, প্রতিপক্ষের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের ‘নীরব’ করেছে। শামি আননের মতো শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব যার নির্বাচনী লড়াইয়ে জিতে যাওয়ার কথা, তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। যেভাবে অভিযোগ করা হয়েছে, আগামী চার বছর পরও তার বের হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সিসি ক্ষমতায় গিয়েই ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধকে তুলে আনবেন এবং সাংবিধানিক সংশোধন এনে বিপক্ষ ও ‘সন্ত্রাসী’দের নির্মূল করার পদক্ষেপ নিয়ে ২০২০ সালে আরেক নির্বাচনের হিসাব কষবেন।
তিনি মিলিটারি কাউন্সিলে তার আপন শ্যালক চিফ অব জয়েন্ট স্টাফকে পদচ্যুত করেন। কেননা, আমেরিকায় এক সরকারি সফরে তিনি কিছুটা স্বাধীনভাবে কথাবার্তা বলেছিলেন। তিনিও একজন ক্ষমতাবান সেনা অফিসার। ফেরাউনের ঘরেই কিন্তু মূসা আ: প্রতিপালিত হয়েছিলেন। সিসির তা ভালোভাবে জানার কথা। সিসি অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসারদের কোণঠাসা করেছেন; কিন্তু মিসরের ইতিহাসে সেনা অভ্যুত্থান কোনো নতুন ঘটনা নয়। সিসি আস্তে আস্তে সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কব্জায় নিয়েছেন, যেমন- সংসদ, সেনাবাহিনী ও সরকার। এর যেকোনো একটি প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে সিসিকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ঠ। তাই নির্বাচন হবে একটি প্রহসন।
২০১৩ সালের ক্যুর পর মিসরের রাজনৈতিক জীবন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। আরব বসন্তের হাওয়ায় যে পরিবর্তন হয়েছিল, তা এখন ভীতির আবহ ছড়াচ্ছে। কোনো বিক্ষোভ করলেই ডাণ্ডা, এভাবে তিনি ক্ষমতাকে সংহত করেছেন। ফৌজদারি আইনের একটি ধারাকে সংস্কার করে বিচারের আগে দুই বছর পর্যন্ত ডিটেনশনে রাখার বিধান করা হয়েছে। সুতরাং মিথ্যা মামলায়ও বিচারের আগে দুই বছর জেলে পুরে রাখা কোনো বিষয় নয়। সিভিল সোসাইটির বিপক্ষেও তিনি ‘সার্জারি অপারেশন’ করেছেন। সব এনজিওকে সরাসরি নিরাপত্তা বাহিনীর অধীনে আনা হয়েছে। বড় বড় ও প্রতাপশালী এনজিও অফিসাররা আরো শক্তিশালী হয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় এখন ঘুরে বেড়ান। শুধু ব্রাদারহুড নয়, ২০১৩ সালে যারা সামরিক ক্ষমতার বিরোধিতা করেছিল- বিচারক, পুলিশ, মিডিয়া, ব্যবসায়ী তিনি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। যেগুলো বাকি আছে তা দ্বিতীয় মেয়াদে কার্যকর করে চলার পথকে করবেন মসৃণ।
এত গ্রেফতার, নির্যাতন ও ফাঁসির পরও মিসরব্যাপী সামরিক শাসকের বিরোধীরা আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে। ২০১৪ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১১৬৫টি আক্রমণ হয়েছে। অর্থাৎ তিন বছর গড়ে একদিনে একটি আক্রমণ পরিচালনা করেছে সিসিবিরোধীরা। মিসরের সাম্প্রতিক ইতিহাসে এমন বড় ঘটনা হলো- রাশিয়ার মেট্রো জেট বোমা হামলা, মৃতের সংখ্যা ২২৪ জন এবং আল-রাউজা মসজিদে আক্রমণ, মৃতের সংখ্যা ৩০৫ জন। এ ছাড়াও কপটিক চার্চে হামলা ও সিনাই হামলাও উল্লেখ করার মতো।
মিসর ইতোপূর্বে দু’টি দ্বীপ স্থায়ীভাবে সৌদি আরবকে দিয়েছে। এ নিয়ে মিসরের জনসাধারণ খুশি নয়। এরপর সিনাইয়ের বিরাট এলাকা নিওম প্রকল্পের জন্য সৌদিদের হাতে তুলে দিয়েছেন। ইসরাইলকেও সিনাই এলাকায় বিরাট নিরাপত্তা এলাকা দেয়া হয়েছে। সুদান ও ইথিওপিয়ার সাথে ‘গ্র্যান্ড রেনেসাঁ বাঁধ’ নিয়ে বিরোধের কোনো সমাধান নিয়ে আসতে পারেননি। এই বিরোধের জের ধরে মিসর যদি ইথিওপিয়ায় বোমা বর্ষণ করে তবে মিসরের আসওয়ান বাঁধেও বোমা পড়বে। এখন রুটি ও ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছেই। সাধারণ মানুষের জীবন বলতে গেলে ওষ্ঠাগত। যদি সুয়েজের পানি কমে তবে মিসরে দুর্ভিক্ষ নেমে আসবে।
প্রেসিডেন্ট জামাল আবদুল নাসের ১৯৫৬ সালে এশিয়া ও ইউরোপের সংযোগকারী সুয়েজ খাল জাতীয়করণ করে এবং আসওয়ান বাঁধ নির্মাণ করে মিসরের জনগণের ভূয়সী প্রশংসা, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন। সমালোচকেরা বলছেন, সে ধারার আলোকে প্রেসিডেন্ট আল সিসিও জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চান। তাই জনগণকে আকৃষ্ট করার জন্য তিনি মেগা প্রকল্প নিয়েছেন। যেমনÑ নতুন সুয়েজ খাল সিসির একটি কৃতিত্ব, ২০১৪ সালের আগস্টে প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়। সরকার ৯ শত কোটি ডলার শেয়ার বিক্রি করে এবং জনগণের অনুদান নিয়ে এটি বানায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খরচ হয় ৩ কোটি ডলার। অনেক মিসরীয় এই বিরাট খরচের জন্য ক্ষুব্ধ। এখন যেমনটি ধারণা করা হয়েছিল, সেভাবে আয়ও আসছে না।
সিসির আরেক প্রকল্প মিসরে কায়রোর বদলে নতুন একটি রাজধানী তৈরি। যেখানে পার্লামেন্ট, মন্ত্রীদের কার্যালয় আর দূতাবাসগুলো থাকবে। সিঙ্গাপুরের আয়তনের সমান ও ৫০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী করে শহরটি তৈরি করা হবে। বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রো থেকে বড় হবে। কিছু বিল্ডিং আইফেল টাওয়ারের চেয়ে উঁচু হবে। শহরটি পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে তৈরি হবে। ন্যূনতম খরচ পড়বে সাড়ে ৪ হাজার কোটি ডলার।
সিসি প্রিন্স সালমানের সাথে মিলে সিনাইয়ে ‘নিউম ম্যাগাসিটি’ বানাতে চায় পর্যটনের জন্য। এ ছাড়াও পানি, জ্বালানি, খাবার, গণমাধ্যম, আধুনিক কারখানাজাত উৎপাদন, জৈবপ্রযুক্তি ও বিনোদনের ব্যবস্থাও করা হবে। প্রিন্স সালমানের সম্প্রতি মিসর সফরের সময় ১ হাজার কোটি ডলারের এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। রেড সি ও গাফ অব আকাবা বরাবর-এর কার্যক্রম চালানো হবে। স্পষ্টই বোঝা যায়, এখানে কৌশলগত সামরিক বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত। কেননা, ইতোমধ্যে তুরস্ক সুদানের সুয়াকিম দ্বীপ প্রায় ১০০ বছরের জন্য ‘লিজ’ নিয়েছে পর্যটনের জন্য।
এটা অবাস্তব ও অসম্ভব যে সিসি ক্ষমতা ছাড়বেন। তিনি এতদিনে যে শত্রু তৈরি করেছেন, তা কি তিনি নিঃশেষ করতে পারবেন? আদৌ কি তা সম্ভব। দেশের মানুষকে মেরে, জেলে পুরে ক্ষমতায় থাকা মিসরের ইতিহাসেও নেই। তবে আগামী চার বছর মিসরবাসীর জন্য প্রগতি ও অথনৈতিক সম্ভাবনা নাকি দুর্ভিক্ষের পদক্ষেপ, তার জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ইতিহাস বলে, যে সব নেতা ‘বৈধতার’ বিধানকে তোয়াক্কা করে না, ক্ষমতায় তারা বিরোধীদের সাথে সহাবস্থান করতে পারে না, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য অনেক সময় হিংস্রতার আশ্রয় নিতে হয় এবং মানসিক উন্মাদনা তার চালিকাশক্তি হয়। সিসি এখন এই অবস্থায় আছেন।
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন