ঐতিহ্যবাহী ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড মুফতি ড. শাউকি ইব্রাহিম বলেছেন, কোনো মুসলমানকে অবিশ্বাসী অ্যাখ্যা দেওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। আর কেবলমাত্র আদালতই কাউকে ‘নাস্তিক’ অ্যাখ্যা দিতে পারে। এবং জিহাদের ডাক দেয়ার একক কর্তৃত্ব রাষ্ট্রের হাতে।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তান সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত উগ্রবাদী ধ্যান-ধারণাবিরোধী আলেম-ওলামাদের দেওয়া ফতোয়া সংকলন ‘পয়গাম-ই-পাকিস্তান’কে সমর্থন করে বুধবার ইব্রাহিম এসব কথা বলেন।
উগ্রবাদই সন্ত্রাসবাদ ও ব্লাসফেমির পথে নিয়ে যায় বলে মত এ গ্র্যান্ড মুফতির। পাকিস্তানের কাউন্সিল অব ইসলামিক আইডিওলজির আয়োজনে ‘পয়গাম-ই-পাকিস্তান অ্যান্ড টেররিজম’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘দায়েশের (মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট) মত গোষ্ঠীগুলো ইসলামের শিক্ষা থেকে বিচ্যুত হয়ে গেছে, যদিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দিয়ে তরুণ মুসলিমদের লক্ষ্য বানাচ্ছে’।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত ফতোয়া সংকলনের সাহায্যে উগ্রবাদ নির্মূলের ব্যবহারিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এ সম্মেলনে আলোচনা হয়। এতে বক্তারা ধর্মান্ধদের মোকাবিলায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
ইব্রাহিম বলেন, ধর্মীয় বিধান জারির এখতিয়ার কেবলমাত্র গ্র্যান্ড মুফতিদেরই থাকতে পারে; ‘গুহায় আবদ্ধ থেকে’ গুটিকয়েক বই পড়া আধা-শিক্ষিত ওলামাদের নয়। ‘রাষ্ট্রের সীমানায় আস্থাশীল নয় এমন মনস্তত্ত্বের বিরোধিতা করাও প্রয়োজন,’ জঙ্গি নেতাদের ধর্মীয় যোগসাজশের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন তিনি।
মৌলবাদী ধ্যানধারণার বিরোধিতায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারও জরুরি বলে মনে করেন ইব্রাহিম। পাকিস্তানের মত করে মিশরও জঙ্গিবাদবিরোধী সংকলন তৈরি করছে এবং মূলধারার আলেম-ওলামারাই তাতে স্বাক্ষর করবেন বলেও জানান তিনি।
সূত্র: দ্য ডন
পাঠক মন্তব্য
Supporter of autocratic ruler and Killer Sisi.Contains the title Grand Mufti and pleases all brutal rulers to get worldly interest.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন