সিরিয়ার মাটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের যৌথ বিমান হামলার পর প্রশ্ন উঠছে এর প্রতি উত্তর কিভাবে দেবে রাশিয়া৷ কারণ রাশিয়া এই হামলার কড়া জবাব দেবে বলেই জানিয়েছে৷ এরই পাশাপাশি কৌতুহল উঠছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে ঘিরে৷
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি'র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে টুইটারে পোস্ট করা ছয় সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট আসাদ হাতে একটি ব্রিফকেস নিয়ে মার্বেলের তৈরি মেঝের ওপর দিয়ে হেঁটে বড় একটি ঘরে প্রবেশ করেছেন।
সেটিকে প্রেসিডেন্টের অফিস হিসেব দাবি করা হচ্ছে। সেই ভিডিওতে প্রেসিডেন্ট আসাদের চেহারা পরিষ্কার বোঝা যায়নি৷ বিমান হামলার পর সকালে বাসার আল আসাদ তার অফিসে এসেছিলেন৷ তারপর তার কোনো খবর মেলেনি৷
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীদের এলাকায় রাসায়নকি হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে৷ এই অভিযোগে সিরিয়া সরকারের বিভিন্ন রাসায়ানিক অস্ত্র ঘাঁটিতে বিমান হামলা শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ ও ফ্রান্সের জোট সেনা৷
বিবিসি জানাচ্ছে, মিসাইল হামলার পর সকালে দামাস্কাসের রাস্তা অন্যান্য দিনের মতোই ব্যস্ত ছিল। শহরের বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা বাহিনী থাকলেও তেমন কড়াকড়ি ছিলনা৷ দোকান বাজার যথারীতি খুলেছে এবং মানুষজন তাদের কাজে গিয়েছেন।
এদিকে মিসাইল হামলা চালানোর পরে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ জানিয়েছেন, এর ফলে সিরিয়ার মানুষ সন্ত্রাসবাদ শেষ করতে আরও বদ্ধপরিকর হয়ে উঠবেন। আরও দাবি করা হয়, বেশ কয়েকটি মিসাইল আছড়ে পড়ার আগেই নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব হয়েছে৷ যদিও এই দাবি নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে৷ একইভাবে রাশিয়া দাবি করে, সিরিয়ার মাটি লক্ষ্য করে উড়ে আসা মিসাইল তেমন কিছু ক্ষতি করতে পারেনি৷
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন