ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের এক শিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা নিয়ে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ হয়েছে লন্ডনে। এমনকি, কাঠুয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যেসব সংগঠন, তাদের ‘ভারত কি বাত....সব কে সাথ’ অনুষ্ঠানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। সেই অনুষ্ঠানেই কাঠুয়ার নাম না করে নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে বোঝাতে চাইলেন, নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, দেশে বিরোধীরা পরিসংখ্যান দিয়ে বলে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যেই নারী ও শিশুকন্যা নির্যাতনের ঘটনা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
গতকাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেন্ট্রাল হলের মঞ্চে সঞ্চালক ছিলেন সেন্সর বোর্ডের প্রধান প্রসূন জোশী। কার্যত কোনও অস্বস্তিকর প্রশ্নই ছিল না। বিরোধীদের দাবি, সমর্থকদের নিয়ে পুরোপুরি সাজানো অনুষ্ঠান করা হয়েছে। সেই অনুকূল পরিবেশেই হঠাৎ নাবালিকা ধর্ষণ নিয়ে মুখ খুললেন মোদি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণের চেয়ে ভয়ানক আর কী হতে পারে? তবে আমাদের জমানায় এমন ঘটনা বেশি হয়েছে না অন্যদের জমানায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও লজ্জাজনক।’
তার কথায়, ‘মেয়ে দেরি করে বাড়ি ফিরলে মা প্রশ্ন করেন কোথায় গিয়েছিলে। রাতে ফোনে কথা বললে প্রশ্ন করেন কার সঙ্গে কথা বলছ। ছেলেরা দেরি করে ফিরলে প্রশ্ন করা উচিত কোথায় ছিলে।’ হল তখন ফেটে পড়ছে হাততালিতে।
আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলছে, ঘটনাচক্রে এ দিনই, অমেঠীর এক শিশুকন্যা দীপালির ভিডিও টুইট করেছেন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।
লিখেছেন, ‘দীপালির কাছে আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে। সে বোঝাতে চায়, সুখের অশ্রু, দুঃখের অশ্রুর মধ্যে কোনও তফাত নেই।’
রাহুল পরোক্ষে নাবালিকাদের অবস্থা নিয়েই খোঁচা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
বিদেশের মাটি থেকে রাহুলের নাম না করে আরও খোঁচা দিয়েছেন মোদি।
তিনি বলেছেন, ‘আমি দারিদ্র্যের কথা বই পড়ে শিখিনি।’ পরে হাসতে হাসতে তার মন্তব্য, ‘সব সময় কটূক্তি করতে একটা লোক চাই তো। সে দায় আমিই নিয়েছি।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন