একদিকে শত শত ইসরাইলি সৈন্য রাইফেল তাক করে বসে আছে। অন্য দিকে এক তরুণী টিয়্যার গ্যাস থেকে বাঁচার জন্য অর্ধেক মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে বিক্ষোভ মিছিলের একেবারে সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন মিছিলে অংশ নেওয়া তরুণদেরও সামনে, তাদেরকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
‘কারণ নারীদের দিকে কম গুলি ছোঁড়া হয়’ বলছিলেন ২৬ বছর বয়সী তাগহরীদ আল বারাওয়ীভ
তার সাথে কথা হয় গত ১৩ এপ্রিল যখন তিনি গাজায় ইসরাইলের সীমানার কাছে লাগাতার চলতে থাকা তৃতীয় জুমার বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তার সাথে ছিলেন তার ছোট বোন এবং কিছু বন্ধু।
তিনি বলছিলেন, আমরা একটি পুরুষ শাসিত সমাজে বাস করি এবং বিক্ষোভে নারীদের অংশগ্রহণ গাজায় কিছু মানুষের কাছে অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। তবে এখন পুরুষরা এটা গ্রহণ করছে এবং আমাদের বিক্ষোভে অংশ নিতে সাহস যোগাচ্ছে। তারা হয়তো উপলব্ধি করতে পারছে আমরা সবাই এই লড়াইয়ের অংশীদার এবং নারীদেরও বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করা উচিত।
কিন্তু নারী হওয়াও নিরাপদ থাকার জন্য যথেষ্ঠ নয়।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভে ১৬০ জন নারী সহ ১৬০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে এবং ৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে শহিদ হয়েছে।
আল জাজিরা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন