ধর্ষণ মামলার রায় ঘিরে ফের যুদ্ধের প্রস্তুতি উত্তর ভারতে! রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে জোধপুর।
জোড়া ধর্ষণ মামলায় গুরমিত রাম রহিমের শাস্তি ঘোষণার পরে কী ঘটেছিল, সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। স্বঘোষিত ওই ধর্মগুরু রীতিমতো ছক কষে এমন হাঙ্গামা বাধিয়েছিল যে, তাতে ৩৬ জনের প্রাণ যায়। নষ্ট হয় ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। মাস আটেক পরে ফের এক ধর্ষণ মামলায় রায় বেরোবে কাল। এ বারও অভিযুক্ত এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু। আসারাম বাপু। অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্র সতর্ক করছে রাজস্থান, গুজরাত ও হরিয়ানাকে। তিন রাজ্যেই নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো।
গুরমিতের ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছিল— এ ক্ষেত্রেও আদালত বসবে জেলে। রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে জোধপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতরেই কাল আসারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় রায় দেবে বিশেষ তফসিলি জাতি-জনজাতি আদালত। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলে হয়েছে জেল। রায় দেবেন বিচারক মধুসূদন শর্মা। বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
গুরমিতের শাস্তি ঘোষণার পরে গত ২৮ অগস্ট ও তার পরের কয়েক দিনে হাঙ্গামা ছড়িয়েছিল দিল্লি-সহ চার রাজ্যে।
আসারামের সমর্থকরা যাতে তেমন কিছু করতে না পারে, সে দিকে কড়া নজর রাখছে পুলিশ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জোধপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। শহরে সব বাস টার্মিনাস ও রেল স্টেশনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। হোটেল ও ধর্মশালায় কারা আসা-যাওয়া করছেন, নজর রাখা হচ্ছে সে দিকেও। শহরের বাইরে পল রোডে আসারামের আশ্রম। অশান্তির আশঙ্কায় সেটি ফাঁকা করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে জেলেই রয়েছে আসারাম। ১২ বার জামিনের আবেদন করেছে সে। খারিজ হয়েছে প্রতি বারই। অভিযোগ, ২০১৩-য় উত্তরপ্রদেশের শাহজহানপুরের ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে সে। মানাই গ্রামে নিজের আশ্রমে নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসারাম।
গুজরাতের সুরাতেও আসারাম ও তার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন দুই বোন। আসারামের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে গত চার বছরে এই দুই মামলার ৯ জন সাক্ষীর উপর হামলা হয়েছে। মারা গিয়েছেন ৩ জন।
দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছর জেল হতে পারে ৭৭ বছরের আসারামের। অশান্তির আশঙ্কায় উত্তরপ্রদেশে ওই নিগৃহীতার বাড়ির বাইরেও মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। তবে আসারাম নিজে ভক্তদের শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দিল্লিতে তার আশ্রম থেকেও সেই বার্তাই দেওয়া হয়।
শীর্ষ নিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন