জম্মু-কাশ্মীরে এক সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যসহ মোট ছয় জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, স্বয়ংক্রিয় রাইফেলসহ এক পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন।
মঙ্গলবার পুলওয়ামা জেলার ত্রাল এলাকায় দীর্ঘ বারো ঘণ্টাব্যাপী সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে চার গেরিলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্য নিহত হন।
নিহত গেরিলারা জৈশ-ই-মুহাম্মদ গোষ্ঠীর সদস্য বলে বলা হচ্ছে। এদের মধ্যে আবিদ ও ইসফাক নামে দু’জন রাজ্যের খানগান্দ ও হান্দওয়াড়া এলাকার বাসিন্দা হলেও ওমর খালিদ ও ইয়াসীর নামে অন্য দু’জন ‘পাকিস্তানি বাসিন্দা’ বলে পুলিশ দাবি করছে।
গেরিলারা পুলওয়ামা জেলার ত্রাল অঞ্চল লাগোয়া লাম-অরিপাল জঙ্গল এলাকায় লুকিয়ে আছে গোপনসূত্রে এমন খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালায়। এসময় গেরিলারা নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলে পাল্টা গুলিবর্ষণের মধ্যে দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী জবাব দেয়া শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়। ওই ঘটনায় অজয় কুমার নামে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য গুরুতরভাবে আহত হন। তাকে শ্রীনগর আর্মি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তিনি মারা যান।
পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত সেনাবাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীকে পাঠানো হয়। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে সংঘর্ষে লতিফ গোজরি নামে আহত এক পুলিশ সদস্যকে আর্মি হাসপাতালে পাঠানো হলে তিনি সেখানে মারা যান।
এদিকে মঙ্গলবার রাত থেকে তারিক ভাট নামে এক পুলিশ সদস্য এ কে ৪৭ রাইফেলসহ নিখোঁজ হয়েছেন। মধ্য কাশ্মিরের বাডগাম জেলার পাখেরপোরা এলাকার একটি ফাঁড়িতে নৈশ প্রহরায় নিয়োজিত ছিলেন তারিক ভাট। রাত ৯ টা নাগাদ তিনি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও গুলিসহ নিরুদ্দেশ হওয়ায় প্রশাসনিক মহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: পার্সটুডে
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন