রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন ও অন্যান্য নৃশংস অপরাধের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যাপক অনুসন্ধানে নেমেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিচারের মুখোমুখি করতে এসব তথ্যপ্রমাণ ব্যবহার করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে চলা এই অনুসন্ধানে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে অবস্থান করা এক হাজার রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকার নেয়া হবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে মার্কিন কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
২০০৪ সালে সুদানের দারফুরে নৃশংসতার বিরুদ্ধে পরিচালিত মার্কিন ফরেনসিক তদন্তের মতো করে এই অনুসন্ধান চালানো হবে।
যুক্তরাষ্ট্র যেটিকে গণহত্যা আখ্যায়িত করে সুদান সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
মার্চ ও এপ্রিলে আন্তর্জাতিক আইন ও ফৌজদারি বিচারের আওতায় অন্তত ২০ জন তদন্তকারী এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন।
ওয়াশিংটনে এসব তথ্য-উপত্তের বিশ্লেষণ করা হবে এবং একটি প্রতিবেদনের আকারে তথ্যপ্রমাণ মে ও জুনের প্রথম দিকে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতাদের কাছে পাঠানো হবে।
এদিকে রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরও এক বছর বাড়ানো হবে।
চলতি সপ্তাহে এ সম্পর্কিত ঘোষণা আসছে বলে জানিয়েছেন ইইউর কূটনীতিক ও কর্মকর্তারা।
এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনের আরও কয়েকজন সেনাকর্মকর্তার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
গত বছর আগস্টের শেষ দিকে শুরু হওয়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে মারাত্মক ও পরিকল্পিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ইউরোপীয় ইউনিয়নের।
বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিপীড়ন থেকে বাঁচতে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা সংখ্যালঘু পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
দেশটির ওপর ইইউর চলমান অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা এপ্রিলে শেষ হয়ে যাবে। এর মধ্যেই সেই নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন কূটনীতিকরা।
তারা বলেছেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দেয়া সীমিত প্রশিক্ষকেও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন