উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন চলতি সপ্তাহের রোববার ঘটে যাওয়া পর্যটকবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জন চীনা নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীরভাবে ক্ষমা চাইলেন। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সূত্রে এ খবরটি জানা গেছে।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন পিয়ংইয়ং রেলওয়ে স্টেশনে নিহত ও আহত চীনা পর্যটকদের বিদায় জানানোর জন্য আসেন। একটি বিশেষ ট্রেনে করে তাদেরকে কোরিয়া থেকে চীনে পাঠানো হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি ছবি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) প্রকাশ করেছে।
কিম জং উন এক বিবৃতিতে জানায়, আমাদের খুব কাছের চীনা বন্ধুরা আমাদের দেশে এসে অপ্রত্যাশিত এক দুর্ঘটনায় পড়ে। এটা আসলেই অনেক দুঃখের। এজন্য আমরা আমাদের চীনা কমরেডদের কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আসলে কোনভাবেই শব্দ, সহানুভূতি অথবা কোনো কিছু দিয়ে এ ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব হবে না।
রোববার উত্তর কোরিয়ায় চীনা পর্যটকবাহী একটি বাস দুর্ঘটনায় ৩০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কায়েসং থেকে রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ফেরার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর লাখো পর্যটক ভ্রমণের জন্য উত্তর কোরিয়াতে যান।
বিক্ষোভে উত্তাল দক্ষিণ কোরিয়াা, মার্কিন সেনাঘাঁটির সামনে সংঘর্ষ
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘থাড’ মোতায়েনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শত শত গ্রামবাসী। সেদেশে অবস্থিত একটি মার্কিন সেনাঘাঁটির সামনে আমেরিকা বিরোধী বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শিয়ংজু’র ওই মার্কিন ঘাঁটিতে ‘হাই অ্যালটিচুড এরিয়া ডিফেন্স’ বা থাড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন করার কথা রয়েছে।
সোমবার ঘাঁটিটিতে ওই ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ প্রবেশের সময় আগে থেকে ঘাঁটিটি অবরোধ করে রাখা শত শত গ্রামবাসী তাতে বাধা সৃষ্টি করে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে হাজার হাজার দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়।
পরে বিক্ষোভকারীরা এক বিবৃতিতে বলেন, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা অনেকাংশে কমে এসেছে। শিগগিরই দুই কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কাজেই উত্তর কোরিয়াকে প্রতিহত করার অজুহাতে থাড মোতায়েন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ওই মার্কিন সেনাঘাঁটিকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। একারণে সেনাঘাঁটিটির খাদ্য ও জ্বালানীসহ অন্যান্য সরবরাহ হেলিকপ্টারে করে করতে হচ্ছে।
২০১৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাই উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার জন্য তার দেশে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে দেশটিতে সরকার পরিবর্তন হলেও থাড মোতায়েনের সিদ্ধান্তে অটল থাকে সিউল।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন