নাইজেরিয়ার বৃহত্তম শহর লাগোসের একটি ‘বেবি ফ্যাক্টরি’ (শিশু উৎপাদনের কারখানা) ও নিবন্ধনবিহীন দুটি এতিমখানায় অভিযান চালিয়ে ১৬২ শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছে, ওইসব শিশুর মধ্যে কয়েকজনকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়ার বিভিন্ন ‘বেবি ফ্যাক্টরিতে’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান নতুন কিছু নয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অবিবাহিত গর্ভবতী নারীদের স্বাস্থ্যসেবার প্রলোভন দেখিয়ে এগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, শর্ত থাকে জন্মের পর তাদের বাচ্চাটি ফ্যাক্টরি নিয়ে নেবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে নারীদের সেখানে ধর্ষণ করে গর্ভবতী করা হয়।
এসব শিশুকে অনেক সময় দত্তক নেয়ার জন্য বিক্রি করা হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে এদের শিশুশ্রমে নিযুক্ত করা হয়। ইউরোপে পতিতাবৃত্তির জন্যও পাচার করা হয় অথবা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের জন্য হত্যা করা হয়।
ফেব্রুয়ারি মাসে লাগোসের পুলিশ স্থানীয় মিডিয়াকে জানায়, তাদের কাছে একজন নারী অভিযোগ করেছে- একটি বেসরকারি হাসপাতালে সন্তান প্রসবের জন্য গেলে তারা তার শিশুটি চুরি করে বিক্রি করে দেয়।
লাগোসের সামাজিক উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা আগবুলা দাবিরি বলেন, উদ্ধার শিশুদের মধ্যে ১০০ জন মেয়ে ও ৬২ জন ছেলে। তাদের বর্তমানে সরকারি তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
২০১৩ সালে একই রকম একটি অভিযানে ১৭ জন গর্ভবতী নারী ও ১১ শিশু উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে ওই নারীরা জানিয়েছিলেন, তাদের সবাইকে একই ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিলেন।
সন্তানহীন দম্পতিরা কীভাবে নাইজেরিয়ার শিশু বিক্রেতা চক্রের জালে জড়িয়ে পড়ছেন, তার প্রতি যুক্তরাজ্যের একজন বিচারক ২০১২ সালে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ওই বিচারক বলেন, ‘নারীরা বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য নাইজেরিয়া যান। অনাকাঙ্ক্ষিত শিশু কিনে তারা নিজের বন্ধ্যাত্ব মোচন করেন।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন