বুধবার ভারতের যোধপুরের আদালত ধর্ষণের দায়ে আলোচিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেন। ৭৭ বছর বয়স্ক এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে নিজ আশ্রমে অধ্যয়নরত ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হবার পর আদালত এই রায় ঘোষণা করে।
তবে ভারতীয় ধর্মগুরু বা তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যৌন নিগ্রহ এবং কেলেঙ্কারির জোয়ার এর আগেও ভারত জুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। ধর্মীয় গুরুদের প্রতি সাধারণ মানুষের অন্ধভক্তি ও সমর্থন যে এই সমস্ত কেলেঙ্কারির পেছনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।
২০১৭ সালের গার্ডিয়ানের প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ভারতের আশ্রম ও ধর্মীয় বিদ্যালয়গুলিতে হাজার হাজার নারীকে জোরপূর্বক আটক করে রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়। এই সমস্ত নারীরা যে শারীরিক এবং মানসিক নিগ্রহের শিকার সেই সম্পর্কে প্রতিবেদনটি খোলাখুলিভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করে। শুধুমাত্র ২০১৭ সালেই ‘আধ্যাত্মিক ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামের ধর্মীয় শিক্ষা বিষয়ক প্রতিষ্ঠানের নানা স্থাপনায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় পুলিশ সেখানে মানবেতর পরিস্থিতিতে বন্দী ২৫০ নারী এবং ৪৮জন নাবালিকাকে উদ্ধার করে।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্বামী নিথিয়ানন্দ(৪০) নামক দক্ষিণ ভারতের আরেক জনপ্রিয় ধর্মগুরুর তামিল অভিনেত্রী রঞ্জিতার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটে ফাঁস যাবার পর তার উপর তদন্ত পরিচালনা করা হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় বাণীর বিকৃত ব্যাখ্যা তৈরি করে একাধিক নারী ভক্তকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করার সুস্পষ্ট প্রমাণ পায় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে মাদ্রাজ হাইকোর্ট জানায়, এই ধরণের ভ- ধর্মগুরুদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২০১৭ সালে বাবা রামরহিম(৫১) ও স্বঘোষিত দেবী রাধে মা’কে(৫৩) যৌন নিগ্রহ এবং আশ্রমভিত্তিক পতিতাবৃত্তি পরিচালনার দায়ে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গার্ডিয়ান/ দ্যা হিন্দু/সিএনএন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন