আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তর করতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। এর আগে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূতাবাস উদ্বোধন করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি বক্তব্য রাখবেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার মুসলিম বিশ্বের কয়েকটি দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
ইরানের প্রেসটিভির অনলাইন ভার্সনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ওয়াশিংটনের এই উদ্যোগের প্রতিবাদে জর্ডান, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার মানুষ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার জর্ডানে অন্তত সাত হাজার মানুষ এক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। জর্ডান উপত্যকা এলাকায় অনুষ্ঠিত ওই কর্মসূচিতে তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে, তুরস্কের ঐতিহাসিক শহর ইস্তাম্বুলে কয়েক হাজার লোক জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা তুর্কি ও ফিলিস্তিনি পতাকা বহন করেন, যাতে লেখা ছিল- প্যালেস্টাইন ফিলিস্তিনিদের, আল-কুদস (জেরুজালেম) মুসলমানদের।
এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়ায় প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। রাজধানী জাকার্তায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের হাতে তখন ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অন্যতম সমর্থক এ দেশটি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেইসঙ্গে তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে।
এমনকি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাব পাস হয়- যাতে ওয়াশিংটনকে ওই বিতর্কিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তারপরও নিজ সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন ট্রাম্প।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন