গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ডাকা বৈঠক সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেয়া বেশিরভাগ সদস্য রাষ্ট্রই এই গণহত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানালেও তাতে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। যে কারণে ফলাফল ছাড়াই শেষ হয় এই বৈঠক।
গত সোমবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিতি নিহত হয়। আহত হয় দুই সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি। এরপর কুয়েতের আহ্বানে মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন বিষয়ক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে অংশ নেয়া বেশিরভাগ দেশই জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের সমালোচনা করেন। এবং গাজায় গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে এর নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের তাজা গুলি ব্যবহারের সমালোচনা করা হয়।
বৈঠকে জাতিসংঘের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়ক নিকোলাই ম্লাদেনোভ গাজা উপত্যকায় আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসার জন্য এ উপত্যকা থেকে বাইরে যাওয়ার অনুমতি দিতে মিশর ও ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানায়। কুয়েতের রাষ্ট্রদূত ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের নির্বিচার গুলিবর্ষণের নিন্দা জানান এবং এ হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।
তবে ইসরায়েলের প্রতি সবাই নিন্দা জানালেও সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে গিয়ে ইসরায়েলের পক্ষ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি গাজায় সহিংসতার জন্য ইসরায়েলে কোনও দোষ নেই বলে জানান। এছাড়া এমন ঘটনার জন্য হামাসকে দায়ী করেন তিনি।
ভেটো প্রদানকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানের কারণেই মূলত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা তো দূরে থাক সামান্য নিন্দা প্রস্তাবও পাশ না করেই বৈঠক শেষ হয়।
১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের কাছ থেকে জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ অবস্থায় সেই অবৈধ শহরে নিজের দূতাবাস খুলল যুক্তরাষ্ট্র।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন