দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা বাতিল করেছে উত্তর কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এ খবর দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াকে উস্কানি হিসেবে দেখছে দেশটি। এই মহড়ার প্রতিবাদে শুধু দক্ষিণের সঙ্গে আলোচনা বাতিল করেই ক্ষান্ত হয়নি উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে ১২ই জুন অনুষ্ঠেয় ঐতিহাসিক সম্মেলন নিয়েও সতর্কতা জারি করেছে উত্তর কোরিয়া।
মার্চে পুরো বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে কিম জং উনের আলোচনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন ট্রাম্প। পরে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেন, ‘আমরা উভয়ে এই বৈঠককে বিশ্ব শান্তির জন্য খুবই বিশেষ মুহূর্তে পরিণত করার চেষ্টা চালাবো।’ যে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় আলোচনা স্থগিত করেছে দক্ষিণ কোরিয়া, সেটি শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ম্যাক্স থান্ডার। এতে অনির্দিষ্ট সংখ্যক বি-৫২ বোমারু ও এফ-১৫কে সহ শতাধিক যুদ্ধবিমান অংশ নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বলছে, এসব মহড়ার উদ্দেশ্য সম্পূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক। ১৯৫৩ সালে দু’ দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অভিন্ন প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় এসব মহড়া চালানো হচ্ছে। দেশ দু’টি আরও বলেছে, বহিঃআক্রমণের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি শক্তিশালী করতে এসব মহড়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে উত্তর কোরিয়া এসব মহড়াকে আক্রমণাত্মক ও উস্কানিমূলক বলেই বিবেচনা করে আসছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন