গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের প্রতিবাদ রুখতে ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণ ছিল 'পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ', এমনটাই মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস চিফ জেইদ রাদ আল হুসেইন। জেনেভায় এক সভায় তিনি বলেন, ইসরায়েলিদের গাজা আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। এক বিষাক্ত পরিস্থিতিতে বন্দি হয়ে গেছেন গাজাবাসীরা।
এদিকে, ইসরায়েলের অ্যাম্বাসাডর অভিযোগ করেন, গাজার ইসলামিক বিদ্রোহী গ্রুপগুলো সাধারণ মানুষকে বিপথে পরিচালিতক করছে।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জরুরি এ সভায় স্বাধীন তদন্তের সুপারিশ করা হয়।
গত সোমবার জেরুজালেমে ইউএস অ্যাম্বেসি স্থানান্তরিত করার দিন গাজা সীমান্তে প্রতিবাদে নামে ফিলিস্তিনীরা। সেখানে সশস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই ঘটনায় নিহত হন ৬০ ফিলিস্তিনী। এখন পর্যন্ত শতাধিকের মৃত্যুতে নিন্দার ঝড় বইছে বিশ্বজুড়ে।
২০১৪ সালে ইসরায়েল এবং বিদ্রোহীদের মধ্যকার যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইসরায়েলের সরকার জানায়, আসলে সন্ত্রাসীরা এইসব প্রতিবাদ সভাকে ব্যবহার করছে। তারা এ সুযোগে ইসরায়েলে প্রবেশের সুযোগ খুঁজছে।
জেইদ গাজা বিষয়ক জরুরি সভায় বলেন, ফিলিস্তিনি বনাম ইসরায়েলের হিসেব যদি করেন তবে ফিলিস্তিনিদের বিপরীতে তাদের ভূমিকা ছিল অনেক বেশি আগ্রাসী।
গত সোমবার গুলতির ছোট একটা পাথরের আঘাতে ইসরায়েলের একজন সৈন্য সামান্য আহত হয়েছেন। ঠিক ততক্ষণে ৪৩ জন ফিলিস্তিনিকে মেরে ফেলা হয়েছে। সেদিন আরো ১৭ জনকে মারা হয়েছিল তাদের ভাষায় 'হট স্পটস' এলাকায়।
জেইদ আরো বলেন, ওই দিন হতাহতের সংখ্যা কমানোর জন্যে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। 'ইচ্ছেমতো হত্যাকাণ্ড' ছিল ইসরায়েলিদের আচরণ।
গাজার এ ঘটনায় 'আন্তর্জাতিক, স্বাধীন এবং পক্ষপাতহীন' তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ ঘটনার পেছনে যারা দায়ী তাদের অবশ্যই শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের অ্যাম্বাসাডর আভিভা রাজ শেচটার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ইসরায়েল সিভিলিয়ানদের ক্ষতি এড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়েছে।
সূত্র : বিবিসি
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন