বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা রহস্য। তার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়েছে না অস্বাভাবিক তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা। এবার সেই সন্দেহের পারদ আরও চড়িয়ে দিলেন ভারতের সাবেক সহকারী পুলিশ কমিশনার বেদ ভূষণ।
তিনি দাবি করেছেন শ্রীদেবীর মৃত্যু স্বাভাবিক তো নয়ই বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। শুধু তাই নয়, টাইমস নাউয়ের খবরে প্রকাশ, শ্রীদেবীর মৃত্যুতে তিনি অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন ভারতীয় পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা দুবাই নিবাসী ডন দাউদ ইব্রাহীমের দিকে।
বর্তমানে একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন অনুসন্ধান সংস্থা চালাচ্ছেন বেদ ভূষণ। নিজের দাবির পেছনে বেশ কিছু যুক্তিও দাঁড় করিয়েছেন তিনি। শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে দুবাইয়ের জুমেরিয়াহ এমিরেটস টাওয়ারে গিয়েছিলেন তিনি। এই হোটেলের বাথটাবে ডুবেই মারা গিয়েছিলেন শ্রীদেবী। তিনি জানিয়েছেন অনুসন্ধানের জন্য তাকে হোটেলে এবং শ্রীদেবী যে কামরায় থাকতেন সেখানে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া নিজের দাবির পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে ভূষণ আরও জানিয়েছেন, যে হোটেলে শ্রীদেবীর মৃত্যু হয়েছে তার মালিকানায় রয়েছেন ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে বোমা বিস্ফোরণের দায়ে অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহীম। এ ছাড়া দুবাইয়ে রয়েছে দাউদের অপরাধের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক। বলিউডে দাউদের প্রভাব ও একাধিক তারকার সঙ্গে তার সখ্যতা কারই অজানা নয়।
ভূষণ জানিয়েছেন, শ্রীদেবী হত্যার সম্ভাব্য মোটিভও। শ্রীদেবীর নামে রয়েছে ২৪০ কোটির রুপির ইনস্যুরেন্স পলিসি। যা তার মৃত্যুর পরই পাওয়া যাবে। অর্থলোভের বলি হলেন কি না ‘জুলি’ খ্যাত এই অভিনেত্রী, তা খতিয়ে দেখতে নিজের তথ্য-উপাত্তসহ ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করার কথাও জানিয়েছেন ভূষণ।
যদিও এর আগে শ্রীদেবীর মৃত্যুকে হত্যা হিসেবে দাবি করা আলাদা কয়েকটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ভারতের নিম্ন আদালত।
পাঠক মন্তব্য
Creative news. Daud is a RAW agent. He is an anti-Muslim propaganda tool.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন