আফগানিস্তান শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে নতুন উদ্যোগ শুরু করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। আর এক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের বিশ্বাস, যে ব্যক্তিটি তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারেন, তিনি পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল অসিম কমর জাভেদ বাজওয়া।
পম্পেও ঘোষণা করেন, তালেবানকে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির দেয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যবেক্ষণ করবে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনী।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নুয়ের্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শীর্ষ ওই মার্কিন কূটনীতিক পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে ফোন দিয়েছেন এবং আফগানিস্তানে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা, সন্ত্রাসীদের শনাক্তকরণের গুরুত্ব ও দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস ইস্যুতে কথা বলেছেন।
নুয়ের্ট বলেন, তারা মার্কিন-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারেও আলোচনা করেছেন।
দক্ষিণ এশিয়ায় বর্তমানে তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করছে মার্কিন প্রশাসন- পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক, আফগানিস্তানে সমঝোতা ও সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই।
ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, অতীতের মার্কিন সরকারগুলোর মতো ট্রাম্প প্রশাসনও বিশ্বাস করে যে আফগানিস্তানে শান্তি পুনরুদ্ধারে পাকিস্তানের একটি প্রধান ভূমিকা আছে। এ কারণে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগের পরিবর্তে জেনারেল বাজওয়াকে ফোন দিয়েছেন পম্পেও।
তারা মনে করেছন, হঠাৎ পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে এই ফোন দেয়ার পেছনে অবশ্যই কোনো জরুরি কারণ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র পাক সেনাপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পেন্টাগনকে ব্যবহার করতে চাইছে। এমনকি ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে স্থবিরতা সত্ত্বেও রাওয়ালপিন্ডির সঙ্গে সম্পর্ক ধরে রেখেছে পেন্টাগন।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পম্পেও মার্কিন কংগ্রেসের শুনানিতে বলেন, আফগানিস্তানে ১৭ বছর ধরে চলা সংঘাত নিরসনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সরাসরি আলোচনায় উৎসাহ দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
গত সপ্তাহে আফগানিস্তানে মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জন নিকোলসন জানান, তালেবান ও আফগান সরকারের মধ্যে সরাসরি আলোচনা আয়োজনে ট্রাম্প প্রশাসন সফল।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন