রাখাইন রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপকভিত্তিক অভিযোগ তদন্তের জন্য গঠিত নতুন কমিশনে একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা সোমবার নেপিদোতে পার্লামেন্ট অধিবেশনে এক সামরিক প্রতিনিধি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘দেশ শাসন করে কে?
রাখাইন রাজ্যের বিষয়াদি তদারকিতে একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞ অন্তর্ভুক্ত করার সরকারি প্রস্তাবে আপত্তি জানিয়েছেন সামরিক প্রতিনিধিরা ও ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ও আরাকান ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি)।
সামরিক প্রতিনিধি কর্নেল মিয়ন্ত চো উল্লেখ করেন, আগেরকার তদন্তগুলোতে বিদেশী ও স্থানীয় সদস্যদের নেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রশ্ন করেন, সরকার কেন বিদেশীদের ওপর নির্ভর করছে।
তিনি পার্লামেন্টারি অধিবেশনে বলেন, কফি আনান-নেতৃত্বাধীন কমিশন ও অন্যান্য কমিশন ইতোমধ্যেই বিদেশী বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গঠিত হয়েছে। সরকার কি এসব কমিশনকে বিশ্বাস করে না। নাকি দেশের নাগরিকদের সরকার বিশ্বাস করে না? সরকার কি কেবল বিদেশীদেরই বিশ্বাস করে?
বিরোধিতা সত্ত্বেও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির সংখ্যাগরিষ্ঠ আইনপ্রণেতা একজন বিদেশী বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করার পক্ষে ভোট দেয়।
পার্লামেন্টে ছয় সামরিক প্রতিনিধির সবাই একযোগে যুক্তি দেয়, বিদেশী হস্তক্ষেপ হলে দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘিত হবে বলে তারা উদ্বিগ্ন।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্টের অফিস ঘোষণা করেছিল, রাখাইন রাজ্যের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্তে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হবে।
ইয়াঙ্গুনের কলামিস্ট উ থিহা থ বলেন, নতুন কমিশন কেবল লোকদেখানো হওয়া ঠিক হবে না। বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সব সন্দেহ নিরসন করার জন্য এর কঠোর কাজ করা উচিত। অন্যথায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, আমাদের সামরিক বাহিনীর ভাবমূর্তি সুরক্ষিত করতে চাইলে নেতিবাচক অভিযোগগুলো বাতিল করতে যে সহায়তা গ্রহণেরই প্রয়োজন হয়, তা করা উচিত।
তিনি বলেন, নতুন কমিটি জাতিসংঘ তদন্ত কমিশনের মতো হবে না। বরং এতে মাত্র একজন বিদেশী থাকবে। বিরোধী দল যদি এ নিয়ে সরকরকে আক্রমণ করে, তবে দেশ ও সামরিক বাহিনী উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন