কোরীয় উপদ্বীপে উসকানিমূলক যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতদিন ধরে চলা ‘টম অ্যান্ড জেরি’ ধাঁচের সামরিক মহড়া বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতির পর সিঙ্গাপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কোরিয়া উপদ্বীপে যৌথ মহড়াকে ‘খুবই উস্কানিমূলক’ ও ‘ব্যয়বহুল’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া প্রতি বছরই নিয়মিত এ সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে। এ মহড়াকে ‘যুদ্ধের উসকানি’ বলেই মনে করে উত্তর কোরিয়া।
মঙ্গলবার কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘ওই যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা (ওয়ার গেম) খুবই ব্যয়বহুল। এ মহড়া অনুষ্ঠানের জন্য বেশির ভাগ অর্থ আমরাই দিতাম।’
ট্রাম্প আরও বলেন, আমরা একটি নতুন ইতিহাস, একটি নতুন অধ্যায় শুরু করার জন্য প্রস্তুত। আমরা একটি যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছি; যাতে কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার দ্বিধাহীন অঙ্গীকার রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাসী একটি বড় পরিবর্তন দেখবে। আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি; যেখানে সব কোরীয় ঐক্যবদ্ধভাবে বসবাস করবেন। যেখানে যুদ্ধে অন্ধকারকে দূর করবে শান্তির আলো। এটাই হবে যৌক্তিক এবং এটা আমাদের নাগালের কাছে। মানুষ মনে করেছিল, এটা কখনই হবে না। কিন্তু শিগগিরই কোরীয় যুদ্ধের অবসান হবে।’
এদিকে সিঙ্গাপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষনেতা কিম জং উনের ঐতিহাসিক বৈঠক শুরুর আগে দুই নেতার করমর্দন সরাসরি দেখে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনকে মুচকি হাসতে দেখা গেছে।
মুন সিউলে তার মন্ত্রিসভায় বসে বড় টিভির পর্দায় বৈঠকটি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়, প্রথমবারের মত ট্রাম্প ও কিম সাক্ষাতের পর দু’নেতার হাত মেলানো দেখে মুচকি হেসে ওঠেন মুন।
দুই দেশের বৈরিতা ঘুচিয়ে দু’নেতাকে এক টেবিলে আনার পেছনে মুনের বড় ভূমিকা রয়েছে। বৈঠক নিয়ে উত্তেজনায় সারারাত ঘুমাতে পারেননি বলেও টুইটারে জানিয়েছেন তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন