ইয়েমেনের গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর হুদায়দাহতে হামলা চালানো শুরু করেছে সৌদি-সমর্থিত বাহিনী। হুতি বিদ্রোহীদের শহরটি ছেড়ে যাবার জন্য বেঁধে দেওয়া চূড়ান্ত সময়সীমা অগ্রাহ্য করার পর, বুধবার তাদের বিরুদ্ধে হামলা অভিযান শুরু করেছে সৌদি- সমর্থিত বাহিনী। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, বিদ্রোহীদের বিভিন্ন ঘাটিতে আকাশ ও জলপথে হামলা চালানো হচ্ছে। ইয়েমেনে সক্রিয় ত্রাণ সংস্থাগুলো সতর্ক করেছিল যে, হুদায়দাহতে হামলা হলে একটি মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এই লড়াইয়ে শহরের ২ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।
প্রসঙ্গত, হুদায়দাহ বন্দরটি হচ্ছে ইয়েমেনে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানোর প্রবেশদ্বার। পৌঁছানো ত্রাণের ওপর নির্ভর করে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ।
সৌদি-মালিকানাধীন আল-আরবিয়া সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নৌ ও আকাশপথে সমর্থন নিয়ে ব্যাপক পরিসরের হামলার মাধ্যমে হুদায়দাহ বিদ্রোহী-মুক্ত করার অভিযান শুরু হয়েছে। বন্দর শহরটির বিভিন্ন উপকণ্ঠে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, আব্দরাব্বু মানসুর হাদির সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদ্রোহীদের শহরটি থেকে সরে যাবার জন্য সকল রাজনৈতিক পদক্ষেপ ব্যর্থ হয়েছে।
ইয়েমেনে হাদি সরকারের হয়ে লড়া সৌদি- নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর অংশীদার সংযুক্ত আরব আমিরাত কয়েকদিন আগে হুতিদের শহরটি ছেড়ে যাবার জন্য চূড়ান্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। সতর্ক করা হয়েছিল, অন্যথায় তাদের ওপর হামলা অনিবার্য।
৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর আমিরাতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আনোয়ার গার্গস বলেন, জোট বাহিনী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালানোর ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, জোট বাহিনী চেয়েছিল বন্দর শহরটির নিয়ন্ত্রণ জাতিসংঘ নিক। কিন্তু হুতি বিদ্রোহীরা সরতে অনিচ্ছুক হলে তারা সামরিক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত ছিল।
ইত্তেফাক
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন