ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা আইনজীবী সব ক্ষেত্রেই পারদর্শিতা না থাকলে জীবনে উন্নতি করা কঠিন। এ সত্যটা খুব ভালো করেই বুঝেছেন ২০ বছর বয়সী কমলজিৎ সিং। আর সে কারণেই ভারতে হাজার হাজার চুরির ঘটনার মধ্যে কমলজিৎ সিংয়ের নাম এখন সংবাদ শিরোনামে!
কারণ ভারতের মুম্বাইয়ের এই তরুণের কাজ কেবল পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে চুরি করা। তিনি হয়তো ভেবেছিল পুলিশ কর্মীদের বাড়িতে কোনো চোরের ঢোকার সাহস হবে না বলে সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ততটা আঁটোসাঁটো না। আর সেই ভরসাতেই তিনি গত কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি পুলিশের বাড়িতে চুরি করেছেন। সেই ধারবাহিকতায় কয়েকদিন আগে কালিচৌকি এলাকার পুলিশ কর্মীদের কোয়ার্টারে ঢুকেছিলেন তিনি। তবে এবারে তার শেষ রক্ষা হলো না।
এ বিষয়ে কালিচৌকি থানার পরিদর্শক দিলীপ উগালে জানান, ঘটনার দিন ভোরের দিকে কনস্টেবল বিজয় বাণের কোয়ার্টারে ঢুকে ৬০ গ্রাম সোনা আর ২ হাজার ৮০০ টাকা নগদ চুরি করেন কমলজিৎ। তারপরে একতলায় এক নারী কনস্টেবলের কোয়ার্টারের দরজা ভেঙে ঢুকেছিলেন তিনি। পাশের ফ্ল্যাট থেকে যাতে কেউ বেরুতে না পারে, সে জন্য দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তিনতলার বাসিন্দা আরেক কনস্টেবল যশবন্ত রসমের নজরে পড়ে যান কমলজিৎ।
তখন যশবন্ত সঙ্গে সঙ্গেই সতর্ক করে দেন আরও দুজন সহকর্মীকে। এরপর তিন পুলিশ কর্মী মিলে তাকে ফলো করতে থাকেন। টের পেয়ে দৌঁড়ে পালাতে শুরু করেন কমলজিৎ। কিন্তু বেশ কিছুটা দূরে কটন গ্রিন রেলস্টেশনের কাছে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি। তবে পুলিশের বাড়িতে চুরি করার ঘটনা তার জন্য নতুন নয়। ওয়াদলা আর বাইকুল্লা এলাকার বেশ কয়েকটি পুলিশ আবাসনে আগে হানা দিয়েছিলেন কমলজিৎ সিং। এর আগে এক পুলিশ কনস্টেবলের সার্ভিস রিভলবার আর ৩০ রাউন্ড গুলি চুরির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় গত বছর গ্রেফতারও হয়েছিলেন কমলজিৎ। পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে আবারও পুলিশের ঘরে চুরি করতে শুরু করেন কমলজিৎ সিং।
দিলীপ উগালে আরও জানান, কমলজিৎ হয়তো ভেবেছিল আমাদের কোয়ার্টারে অন্য কোনো চোর ঢুকতে সাহস পাবে না। তাই অন্য আবাসনের মতো কড়া নিরাপত্তা থাকে না আমাদের কোয়ার্টারে। এবারেও পার পেয়ে যেত, তিনজন কনস্টেবল সন্দেহের বশে তার পিছু না নিলে। তবে ছেলেটার বুকের পাটা আছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন