রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হওয়ার একদিন আগে ২০১৬ সালে ইউরো ফুটবল টুর্নামেন্টে রুশ-বৃটিশ সমর্থকদের হট্টগোলের জের ধরে অন্তত ১২ দর্শকের পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এরা ‘হুলিগ্যানস’ বা খেলার মাঠে বিপর্যয়, সংঘর্ষকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। এদের অনেকেই স্বেচ্ছায় তাদের পাসপোর্ট জমা দেন। ইউরো ফুটবলে রুশ দর্শকদের আক্রমণের শিকার হওয়া ব্রিটিশ দর্শকরা এবার রাশিয়ায় প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠতে পারে বা সংঘর্ষ বাধাতে পারে এমন আশঙ্কায় তাদের পাসপোর্ট জব্দ করার আরেক কারণ। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের নির্দেশ তাদের পাসপোর্ট আটক করা হয়েছে। ডেইলি স্টার ইউকে
এধরনের ব্রিটিশ দর্শকরা থ্রি লায়নস ফ্যানস হিসেবে পরিচিত। গত এক দশক ধরে এধরনের দর্শকদের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে বিধি নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। পুলিশ এমন চিহ্নিত হাঙ্গামাকারী ৫০ জনের পাসপোর্ট জোরপূর্বক আটক করেছে। ২০০০ সালে ব্রিটেন ও জার্মানির খেলায় এধরনের দর্শকরা চেয়ার ছুড়ে গ্যালারিতে সংঘর্ষের সূচনা করে। এধরনের সংঘর্ষে দর্শকদের রক্তাক্ত অবস্থায় আহত হয়ে মাঠ ত্যাগ করতে হয়। বিশ্বকাপ আয়োজকরা বলছেন, রাশিয়ায় এ ফুটবলের আয়োজন উৎসবমুখর করে রাখতেই সংঘর্ষ বা হাঙ্গামাকারীদের দূরে রাখতেই এধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কারণ বিশ্বকাপ ফুটবলে কোনো বিশৃঙ্খলা বা সন্ত্রাসের স্থান নেই। একই সঙ্গে সন্দেহভাজন দর্শকদের ক্ষেত্রে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ।
ব্রিটিশ বন্দর ও রেল স্টেশনে পুলিশ রাশিয়ায় গমনকারী দর্শকদের রুশ আইন মেনে চলার ব্যাপারে কোনো ধরনের শৈথিল্য প্রদর্শন করা মাত্রই তাকে আটকিয়ে দিচ্ছে। এমনকি বিশ্বকাপ ফুটবল দেখতে যাওয়ার সময় বিধি ভাংলে ৫ হাজার পাউন্ড জরিমানা বা ৬ মাসের জেল শাস্তির বিধান কঠোরভাবে প্রয়োগের কথা আগেভাগেই বলে দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ পুলিশের ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নিক হার্ড বলেন, বিকল্প পথে যাতে বিতর্কিত দর্শকরা রাশিয়ায় যেতে না পারে সেদিকেও কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন