মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যৌথ সামরিক মহড়া বাতিলের ঘোষণা দিল দুই দেশই। সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক বৈঠকের ফলাফল হিসেবেই দেখা হচ্ছে এ সিদ্ধান্তকে। গার্ডিয়ানের সংবাদ।
পেন্টাগন জানায়, অপারেশন উলসি ফ্রিডম গার্ডিয়ান নামে যৌথ সামরিক মহড়াটি হচ্ছে না।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে মঙ্গলবার জানানো হয়েছে, ‘দক্ষিণ কোরিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জিম ম্যাটিস এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সং ইয়ং-মো'র মধ্যকার দীর্ঘ আলোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত আসে।
সিউল এক বিবৃতিতে জানায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে যে আগস্টে যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে উভয় দেশের সকল পরিকল্পনা বাতিল করা হল। তবে দুই দেশের মধ্যকার নিয়মিত সামরিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
গত বছরে দুই দেশের মধ্য ১১ দিন ব্যাপী সামরিক মহড়ায় সাড়ে ১৭ হাজার মার্কিন সৈন্য এবং ৫০ হাজার দক্ষিণ কোরীয় সৈন্য অংশগ্রহণ করেছিল।
কয়েক মাস আগ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার লাগাতার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও পরমাণু হামলার হুমকির প্রতিক্রিয়ায় পিয়ংইয়ংয়ের উপর চাপ বাড়াতে বন্ধু দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ার কথা ঘোষণা করেছিল ওয়াশিংটন।
১২ জুন সিঙ্গাপুর বৈঠকে এ মহড়া বাতিল করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি দাবি জানায় উত্তর কোরিয়া। কোরীয় অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের এ সামরিক মহড়া নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন কিম।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে উত্তর কোরিয়া নেতা কিম জং-উনের বৈঠকের পর পরিস্থিতি ইতিবাচকের দিকে মোড় নিলে উত্তেজনা কমাতে প্রথমেই যৌথ সেনা মহড়া বাতিল করার কথা ঘোষণা দেয় সিওল। তবে পিয়ংইয়ং নিজেদের নিরস্ত্রীকরণে ব্যর্থ হলে এ সিদ্ধান্তও বাতিল হয়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করতে মঙ্গলবার বেজিং পৌঁছেছেন কিম জং-উন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরপরই কিমের চীনের সফর নিয়ে ধারণা করা হচ্ছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নতিতে চীনের মনোভাব জানতে গেছেন কিম। সেইসাথে ট্রাম্পের সাথে কী আলোচনা হল তাও জানাবেন জিনপিংকে। যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পাওয়ায় কোনভাবেই চীনের সাথে বন্ধুত্ব হাত ছাড়া করতে চান না তিনি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন