চীন সামিটে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, একাধিক মার্কিন দ্রব্যে ভারত শুল্ক ছাড় না দিলে বাণিজ্য বন্ধ করে দেবে। তার কয়েকদিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে ২৯টি মার্কিন দ্রব্যে অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক বসানো হয়। ৪ অগাস্ট থেকে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
ছোলা এবং ছোলার ডালে ৬০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। মুসুর ডালে ৩০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এছাড়াও বরিক অ্যাসিড, ধাতু গলানোর আধারের আমদানি শুল্ক ৭.৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে, এমকী চিংড়ির উপরও আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বাদাম, লোহা, ইস্পাত জাত দ্রব্য, আপেল, ন্যাসপাতি, শঙ্কর ইস্পাত, টিউব, পাইপ ফিটিংস, স্ক্রু, বোল্টসেরও আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।
তবে ট্রাম্পের কথায় যে একদম আমল দেওয়া হয়নি তা নয়। তাঁর কথা মেনেই মোটরসাইকেলে কোনও বাড়তি শুল্ক আরোপ করা হয়নি। গত সপ্তাহেই ভারতের পক্ষ থেকে প্রায় ৩০টি আমদানীকৃত দ্রব্যের উপর
৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর একটি প্রস্তাব তালিকা আকারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছে জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকায় মোটরসাইকেলও ছিল। কিন্তু পরে আলোচনার পরে মোটরসাইকেলের উপর কোনও আমদানি শুল্ক না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ভারতের এই সিদ্ধান্তের পর আমেরিকার তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন