এনজিওর পাঁচ মহিলাকর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রচার করতেই রাস্তায় নেমেছিলেন তারা। অভিযোগ, সঙ্গীদের মারধর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মহিলা কর্মীদের। খবর: কোলকাতা২৪
মঙ্গলবার (১৯ জুন) ভারতের ঝাড়খণ্ডের খুঁটি জেলায় এ ঘটনা ঘটে। রাজধানী রাঁচি থেকে অন্তত ৫০ কিলোমিটার দুরে এই ঘটনা ঘটে। বন্দুক দেখিয়ে তাদের গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
গণধর্ষণের পর কিশোরের পায়ুপথে রড ঢুকিয়ে নির্যাতন
জানা গিয়েছে, একটি পথনাটিকার মাধ্যমে প্রচার করছিল ওই দলটি। সে সময় এক দল দুষ্কৃতী আচমকাই সেখানে হাজির হয়। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে তারা। হুমকি দেয়, তাদের অনুমতি ছাড়া কেন এ সব সরকারি প্রকল্প নিয়ে গ্রামে ঢুকেছেন তারা।
প্রতিবাদ করতে গেলেই মারধর করে তারা। পুরুষ সদস্যদের ব্যাপক মারধরের পর নিজেদের প্রস্রাব খেতেও বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই মহিলা সদস্যদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গাড়িতে তুলে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই গণধর্ষণ করা হয়।
আরও অভিযোগ, গোটা ঘটনার ভিডিয়োও বানানো হয়েছে। সেগুলো প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে মহিলাদের। প্রায় চার ঘণ্টা আটকে রাখার পর সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সময় অনেক গ্রামবাসীই সেখানে ছিলেন। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখাননি বলেও দাবি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির এক সদস্যের। গত বুধবার ঘটনাটি সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ। তড়িঘড়ি বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে তারা। মেডিক্যাল টেস্টের রিপোর্টে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। ঘটনায় ন’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ‘পাঠালগাড়ি’ নামে এক আদিবাসী সংগঠনের সমর্থক, যারা সরকারের নিয়ম-নীতি মানে না। তাদের দাবি, সংবিধানে তাদের নিজেদের আইনে চলার অধিকার দেওয়া হয়েছে। এমনকী অনুমতি ছাড়া ওই গ্রামে ঢোকে না পুলিশ কিংবা সরকারি কর্তারাও।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন