ইরান পরমাণু চুক্তি এখন আইসিইউতে রয়েছে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তিনি বলেন, ইউরোপের পক্ষ থেকে তেহরান যদি পর্যাপ্ত আর্থিক নিশ্চয়তা না পায় ‘আগামী সপ্তাহগুলোতে’ যে কোনো সময় চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেবে ইরান।
চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়ার পর শুক্রবার ভিয়েনায় চুক্তির বর্তমান অবস্থা বর্ণনা করে এ কথা বলেন তিনি। এদিন ২০১৫ সালে সম্পাদিত বহুজাতিক চুক্তিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এর অন্য পক্ষগুলোর আলোচনায় বসে ইরান।
ইরানের প্রতিনিধি দল ছাড়াও এ সভায় উপস্থিত ছিল চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল। খবর আলজাজিরার।
পৃথক একটি ফোরামে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহি বলেছেন, পাশ্চাত্যের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা ভেঙে পড়লে মধ্যপ্রাচ্যসহ গোটা বিশ্ব ‘ভয়ঙ্কর’ পরিণতির সম্মুখীন হবে। শুক্রবার অসলো ফোরামের অবকাশে একদল বিশেষজ্ঞের উদ্দেশে দেয়া বক্তব্যে এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। সেখানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওমান ও নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
২০১৫ সালে জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় সই করেছিল ইরান। কিন্তু গত মাসের গোড়ার দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ওই সমঝোতা থেকে আমেরিকাকে একতরফাভাবে বের করে নেন।
আরাঘচি বলেন, ভিয়েনা সম্মেলনে আমি স্পষ্ট করেই বলেছি, ইরান পরমাণু চুক্তি এখন আইসিইউতে রয়েছে। কারণ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহারের ফলে এর ভারসাম্য হারিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইরানের ধৈর্য ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোর যে কোনো সময় চুক্তি থেকে তেহরানের প্রত্যাহারের সম্ভাবনা রয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন