রোহিঙ্গাদের জোর করে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বের করে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরুর বিষয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) কাছে পর্যবেক্ষণ পাঠাবে না মিয়ানমার। এই আদালতের এ বিষয়ে হস্তক্ষেপই মানতে চাইছে না দেশটি।
শনিবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলরের দপ্তরের মহাপরিচালক জ তে-এর বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম ‘ইলেভে’ এ খবর জানায়।
গত ২১ জুন আইসিসির প্রাক-বিচারিক শুনানিতে তিন সদস্যের আদালত মিয়ানমারকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে গোপনে কিংবা প্রকাশ্যে পর্যবেক্ষণ দিতে বলেছে। আইসিসির সদস্য না হওয়ায় ওই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি মানতে রাজি নয় মিয়ানমার। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে রোহিঙ্গা নিয়ে অভিমত জমা দিয়েছে বাংলাদেশ।
এনএলডি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে আইসিসির সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেন জ তে। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়। মিয়ানমারের মতো একই ধরনের পরিস্থিতি সিরিয়া আর কেনিয়ার ক্ষেত্রেও হয়েছিল। সিরিয়া আর কেনিয়ার ক্ষেত্রেও কি পর্যবেক্ষণ জমা পড়েছিল? পড়েনি। শুধু সদস্যদেশের ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ নেওয়া যায়। মিয়ানমার আইসিসির সদস্য নয়, আর সনদে স্বাক্ষরকারী দেশও নয়। কাজেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিসির ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।’
মিয়ানমারের কর্মকর্তা বলেন, শরণার্থী সংকট মোকাবেলা করছে এমন কোনো দেশের বিরুদ্ধে আইসিসি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কাজেই মিয়ানমার আইসিসির সর্বশেষ পদক্ষেপ পুরোপুরি মানবে না।
প্রসঙ্গত গত বছরের ২৫ আগস্টের পর থেকে রোহিঙ্গাদের রাখাইন থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত শুরুর সিদ্ধান্ত নিতে আইসিসি মিয়ানমারের পর্যবেক্ষণ জানতে চেয়েছে।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না মিয়ানমার। আশির দশক থেকেই সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশের দিকে ছুটে এসেছে রোহিঙ্গারা। তবে গত বছরের আগস্টের সেনা অভিযানের মুখে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেছে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে গোটা বিশ্বই উদ্বেগ জানিয়েছে। জাতিসংঘও তার ব্যতিক্রম নয়। এই জনগোষ্ঠীর সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সবাই। সেই সঙ্গে তাদেরকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত আছে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন