তুরস্কে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা চলছে এখন। ইতোমধ্যে ৬৩.৭৭% ভোট গণনায় দেখা গেছে অর্ধেকেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের জোট। আল জাজিরার সংবাদ।
রবিবার একইসাথে সংসদীয় ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তুরস্ক জুড়ে ৫৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ১ লাখ ৮০ হাজার ব্যালেট বক্সে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন কিনা তা নির্ধারিত হবে এই নির্বাচনে। তিনি চাইবেন তার দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি সামগ্রিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করতে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংসদীয় ৬৩.৭৭% ভোট গণনায় এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি নেতৃত্বাধীন পিপলস অ্যালায়েন্স এগিয়ে আছে ৫৮.০৮% ভোটে। এর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এরদোগানের প্রতিপক্ষ রিপাবলিকান পিপলস পার্টি মুহাররেম ইনসের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল এলায়েন্স পেয়েছে ৩১.৪% ভোট।
একইভাবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এখন পর্যন্ত এরদোয়ান ৫৫.৯৩% ভোটে এগিয়ে আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মুহাররেম ইনস পেয়েছেন ২৮.৯৩% ভোট।
নির্বাচনে ছয়জন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রয়েছেন। কেউ যদি ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পান, তিনিই প্রেসিডেন্ট হবেন। তবে কেউই যদি ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারেন, ৮ জুলাই দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট অনুষ্ঠিত হবার কথা।
এবারের তুরস্কের নির্বাচন মূলত দুটি জোটে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি পিপলস অ্যালায়েন্স। এখানে আছে এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টি ও গ্রেট ইউনিটি পার্টি। অপরটি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স। এছাড়া চারটি দল আছে- শক্তিশালী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি, ফ্যালিসিটি পার্টি, আই পার্টি ও ডেমোক্রেটিক পার্টি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে তুরস্কে জরুরী অবস্থা চলছে। চলমান নির্বাচনটি ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এরদোয়ান তা এগিয়ে নিয়ে আসেন।
পুনর্বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে এরদোয়ান মন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্টসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সরাসরি নিয়োগ দিতে পারবেন। একই সাথে তিনি দেশের আইনি ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা ও জরুরি অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা পাবেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন