টানা পতনে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকটে সপ্তাহের ব্যবধানে (১৬ থেকে ২০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গড় লেনদেন ৬৮৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকায় নেমে এসেছে। এসময় বাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ও ফান্ডগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশের দর কমেছে। ডিএসই’র সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির, কমেছে ২৩১টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। এ সময় ডিএসইতে ১০৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪১ হাজার ৭৩৬টি শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৩.৩৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ৫ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩ হাজার ৪৩২ কোটি ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫১ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহের ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৫৯৩ কোটি ২৩ লাখ ৯২ হাজার ২৬৯ টাকা। সে হিসাবে সার্বিক লেনদেন কমেছে ৪.৪৬ শতাংশ।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬৮৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৭১৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা অর্থাৎ আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে ৪.৪৬ শতাংশ।
মোট লেনদেনের ৯৫.৫৩ শতাংশ ‘এ’ক্যাটাগরিভুক্ত, ২.৯৮ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ০.৯৪ শতাংশ ‘এন’ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৫৫ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে লেনদেন হয়েছে।
এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১২৪.২০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫২১.৬৬ পয়েন্টে। গত সপ্তাহে ডিএসই`র শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর মূল্য সূচক ডিএসইএস ২২.৬৪ পয়েন্ট কমে ১২৭২.২৪ পয়েন্টে স্থিতি পায়। পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক ৩৬.৯০ পয়েন্ট কমে ২০৫০.৪৪ পয়েন্টে স্থিতি পায়।
সপ্তাহের শুরুতে ডিএসই’র বাজার মূলধন ছিল ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকা। সপ্তাহের শেষে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১.২৬ শতাংশ।
সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে টার্নওভার তালিকায় শীর্ষে ছিল আর্থিক খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি লংকাবাংলা ফাইন্যান্স। কোম্পানিটির ২৩৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়, যা ডিএসইর সর্বমোট লেনদেনের ৬.৮৯ শতাংশ। টার্নওভারে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল শাহজিবাজার পাওয়ার, কোম্পানিটির ১২২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। ৮০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্য দিয়ে টার্নওভার তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে উঠে আসে সিটি ব্যাংক।
এ ছাড়াও টার্নওভার তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- আরএসআরএম স্টিলের ৮০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, রিজেন্ট টেক্সটাইলের ৭৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বিডিকম অনলাইনের ৭৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ৬৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা, আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ৬৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা, ইভেন্স টেক্সটাইলের ৬১ কোটি ৯ লাখ টাকা ও তুং হাই নিটিংয়ের ৫৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন