‘পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী ও আমলাদের স্বার্থের কাছে বন্দি রাজনীতিকে, রাজনীতিবিদদের কাছে ফেরানোই আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ সম্প্রতি ব্রেকিংনিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী। এই সাক্ষাৎকারে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, আগামী নির্বাচন, দেশের বর্তমান ও ভবিষ্যত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মতামত দিয়েছেন তিনি।
রাজনীতির সূচনা লগ্নের স্মৃতিচারণ করে বিএনপির এই নেতা জানান, স্কুল জীবনে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন তিনি। মাধ্যমিকে পড়াকালীন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ায় তাকে এক রাত পুলিশ কাস্টডিতে থাকতে হয়েছে। সেই পুলিশ কাস্টডি থেকে অভিভাবকের মুচলেকায় মুক্ত হন তিনি। তুখোড় এই ছাত্রনেতা রাজনীতির প্রেমে পড়ে রাজনীতিকেই পরবর্তীতে সবার ওপরে স্থান দেন। যার প্রাথমিক সফলতা আসে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভোটে সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হত্যার পর জিয়াউর রহমান রাজনৈতিক দল গঠনের কার্যক্রম শুরু করলে জাতীয় ছাত্রদল ও ছাত্র মৈত্রী থেকে অনেক নেতাকর্মী সেই ডাকে সাড়া দেয়। তিনি (জিয়া) আমাকে তখন যুবদলের সভাপতি করার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু আমার কেন জানি না ভেতর থেকে কোনও প্রকার সাড়া পাচ্ছিলাম না। এই ভেবে-আমি কী তাহলে সামরিক লোকের দলে রাজনীতি করবো? রাজনৈতিক দল তৈরি করিনি, তবে রক্তে তো রাজনীতি। পরবর্তীতে ৯০ এর ছাত্র আন্দোলনের পর আবার আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েই তাদের রাজনীতিতে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু কেন জানি তাদের রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার সাথে নিজের মিল খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
ব্রেকিংনিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মুক্তাদির হোসেন প্রান্তিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে আতাউর রহমান ঢালী বলেন, অতীতেও আন্দোলন হয়েছে। এখনও আন্দোলন চলছে। শুধু ধারাটা ছিল ভিন্ন। নিপীড়ন নির্যাতনের মাত্রা অনেক বেড়েছে। ৭২, ৭৩ সালেও গুম হয়েছে। তবে এখন প্রায় প্রতিদিন গুম হচ্ছে বলে গণমাধ্যমের বদৌলতে জানতে পারছি। তাই রাজনীতি যারা করেন তাদের জন্য রাজনীতির সময় কোনও বিষয় নয়। রাজনীতি ছিল। এখনও আছে। বর্তমানে আমাদের দেশে রাজনীতির মৌলিক পরির্তন হয়েছে। আর সেই পরিবর্তনটা হচ্ছে আগে রাজনীতি করতো রাজনীতিবিদরা, এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির কারণে পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী ও আমলারা। তারা তাদের স্বার্থ রক্ষার্থে দেশের রাজনীতিকে ব্যবহার করছে। তারা চায় দেশের রাজনীতি করপোরেট পুঁজির মালিক এবং আমলাতান্ত্রিক চক্রে বন্দি করে রাখতে। তাই আগামী দিনে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, পুঁজিবাদী ব্যবসায়ী ও আমলাদের হাতে বন্দি রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া।
আদর্শের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকা ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রদল ও ছাত্র মৈত্রীর এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা আতাউর রহমান ঢালী। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া না দিলেও সময়ের প্রয়োজনে বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করতে পারেননি। রাজনীতির দুর্দিনে গত বছর তিনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দেন।
নিজের ইচ্ছায় নাকি বিএনপির আগ্রহে দলটির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন এমনটা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আমার পক্ষ থেকে নয়, বিএনপির পক্ষ থেকে আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত অনেক নেতাই আমার কর্মী ছিল। আমি দীর্ঘদিন রাজনৈতিক দল করিনি, তবে রাজনীতি থেকে বিছিন্ন ছিলাম না। বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর চিন্তা করি, যেহেতু আমি এখন রাজনীতি করছি না তাহলে অন্তত ছেলে মেয়েদের গড়ে তুলতে সহযোগিতা করতে পারি। তাই ২০০৪ সালে আমেরিকায় চলে গেলাম। তাদের লেখাপাড়াটা মোটামুটি শেষ করালাম। কিন্তু এখন কী করবো? রক্তে তো রাজনীতি। ৮/১০ বছর আমেরিকা থাকা হলেও প্রায় প্রতিবছর দেশে এসেছি। তিন থেকে চার মাস অবস্থান করে ফের আমেরিকায় চলে গেছি। এরমধ্যে ২০১২/১৩ সালের দিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ হয়। দেশে থাকলে প্রায়ই কথাবার্তা হয়।
রাজনীতির মাঠে আলোচনা আছে যে, খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসের বদৌলতে আপনি বিএনপির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, এই ধরনের কথা আমার যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্য করে।
বর্তমান রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরে বাম রাজনীতির সাথে জড়িত থাকা সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, রাজনীতিতে দুটো পথ একটা হচ্ছে যোগ্যতা অন্যটি চাটুকারিতা। চাটুকারি করে রাজনীতি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। আমার যোগ্যতাই নির্ধারণ করবে আমার স্থান কোথায়? এটাই আমি বিশ্বাস করি। আমার দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দলগুলোতেও অনেক অযোগ্য লোক আছে। আর এটা থাকবেই। আবার যোগ্য লোকরাও তো আছে। রাজনীতি মানেই সংগ্রাম। সেই সংগ্রাম শুধু শত্রুর বিরুদ্ধে নয়, দলের অভ্যন্তরেও সংগ্রাম। দলের অভ্যন্তরে সংগ্রাম নাই তাহলে সেটা রাজনীতি হলো নাকি? দলের অভ্যন্তরে সংগ্রামটা হচ্ছে দলকে সঠিক পথে পরিচালিত করার সংগ্রাম যা প্রতিনিয়ত অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি লিডার নন। লিডার সে যে নেতৃত্ব দেয় এবং নেতৃত্ব তৈরি করে।
সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন মুক্তাদির হোসেন প্রান্তিক
অনুমতি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সমালোচনায় তিনি বলেন, কাকে কি বলবো? কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে অনুমতি নেয়ার যে সংস্কৃতি তা চালু করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এই আইন বাইরের কেউ করেননি। আমরা নিজেরা নিজেদের পায়ে কুড়াল মেরেছি। এখন তো অনুমতি নিতেও দিচ্ছি না। এমনকি প্রতিটি রাজনৈতিক দলের ইশতেহারে রয়েছে রাষ্ট্রপরিচলানায় যেতে পারলে সকল কালাকানুন বাতিল করা হবে। কিন্তু কেউ কি ক্ষমতায় এসে তা করেছে, তা করেনি? বরং নতুন নতুন কালাকানুন যুক্ত করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগ বলেন আর বিএনপি বলেন এ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
কিছুটা আক্ষেপের সূরে তিনি বলেন, দেশের বর্তমান অবস্থার জন্য আমার বাবা ৭১ সালে শহীদ হননি। মুক্তিযুদ্ধে তো শেখ হাসিনা পরিবারের কেউ একজন শহীদ হননি। শেখ মুজিবের বাড়ি ঘর আগুনে জ্বলে নাই, তাহলে মাওলানা ভাসানীর বাড়ি কেন আগুনে জলেছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক সেনারা আমার বাবাকে ধরে নিয়ে যায়, যার লাশটা পর্যন্ত খুঁজে পাইনি। এখনও প্রায় সময়ে আমার মেয়ে জিজ্ঞাসা করে, বাবা সবার কবর আছে আমার দাদা’র কবর কোথায়? আমি তখন উত্তর দিতে পারি না।
দেশের চলমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাম্য- সামাজিক মর্যাদা-সামাজিক ন্যায় বিচার’ এই তিনটি মুজিব নগরের ঘোষণা। এই তিনটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা...এখন ওরা (আওয়ামী লীগ) মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে বেড়ায়। এই কী দেশ ? এর জন্য কী মুক্তিযুদ্ধে লাখো মানুষ শহীদ হয়েছে। আজ কোথাও নেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। নেই মৌলিক অধিকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার ও নিরাপত্তা। আজ মর্যাদা আছে কালো টাকার মালিকদের, সাংবাদিকরা বিভক্ত, সামাজিক ন্যায় বিচার দূরের কথা দেশের বিচার বিভাগ বন্দি। যা পৃথিবীর ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনা।
রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ইসি’র চলমান সংলাপ কতটুকু ফলপ্রসূ হবে-জানতে চাইলে আতাউর রহমান ঢালী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে আমরা যখন যা কিছুই বলি, তখনই বলে এটা আমাদের আওতাধীন নয়। শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনের চারজন কর্মকর্তাকে সরকার বদলি করে নিয়োগ দিলো আর তখনও উনি (সিইসি) বলেন এখন তো নির্বাচন শুরু হয়নি। কাজেই পরিষ্কার বোঝা যায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে ভালো কোনও কিছু আশা করা যায় না। কারণ আম গাছ থেকে তো আমড়া আশা করতে পারি না।
আওয়ামী লীগ সুবিধা মতো সংবিধানকে ব্যবহার করে- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ছিল না। আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। এখন আবার নিজেদের প্রয়োজনে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে। আজ দেশের প্রধান বিচারপতি ও বিচার বিভাগ নিয়ে অশালীন ভাষায় কথা বলা হয়। কিন্তু কিছু হয় না। অথচ আদালত অবমাননাকর প্রতিটি বক্তব্যের জন্য তাদের জেল হওয়া উচিত।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে খালেদা জিয়ার এই উপদেষ্টা বলেন, সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কোনও আশা করি না। কারণ রোহিঙ্গারা যখন বাংলাদেশে আসে তখন তুরস্কের ফাস্ট লেডি ও মন্ত্রী, ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রীরা চলে আসেন। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙে না। সমস্যাটা আমাদের কিন্তু ওরা চলে আসছেন। মোট কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থের বাইরে কতটুকু যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান।
মোট কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের স্বার্থের বাইরে কতটুকু যেতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান।
আমি মনে করি, এক অর্থে আওয়ামী লীগ খুব খুশি। রোহিঙ্গা ইস্যু তাদের নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিয়েছে। আর তাদের ভাবনা এখন প্রচুর টাকা পয়সা আসবে... এই টাকা লুটপাট করতে হবে। অথচ রোহিঙ্গা ইস্যু এটা একদিনে শেষ হবে না। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। রোহিঙ্গা সমস্যা জাতিগত সমস্যা না। মানবিক কোনও বিষয় নয়। অর্থনৈতিক শোষণের স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যায় ভারত,চীন এবং রাশিয়া নিশ্চুপ। কেন না যখন শোষণের প্রশ্ন আসে তখন আমেরিকা, রাশিয়া, চীন এবং ভারতের মধ্যে বিরোধ থাকে না। তাই এটার সুদূরপ্রসারী প্রভাব আমাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতেও পড়বে। এমনকি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের যদি আমরা কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় যথাযথভাবে পুশব্যাক করতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা সমস্যা আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। আশ্চর্য ও পর্যবেক্ষণের বিষয় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু ও নারীদের লক্ষ্য করা গেলেও যুবকদের তেমন একটা দেখা মেলেনি। আশঙ্কা থেকে যায়, রোহিঙ্গা যুবকরা যদি কোনও স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র হাতে বাংলাদেশে আসে তাহলে শেষ পর্যন্ত কী হবে।
রোহিঙ্গা যুবকরা যদি কোনও স্বার্থান্বেষী মহলের উস্কানিতে ট্রেনিং নিয়ে অস্ত্র হাতে বাংলাদেশে আসে তাহলে শেষ পর্যন্ত কী হবে।
ধানের শীষ প্রতীকে আগামী একাদশ নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার জীবনে রাজনীতি করতে কখনও অনুকূল পরিবেশ পাইনি। সম্ভবত আমাকে বিরোধী দলেই মানায়। আমি প্রতিকূল অবস্থায় রাজনীতি করতে পছন্দ করি। দেশের চলমান এই জটিল রাজনীতির সন্ধিক্ষণে দেখি শেষ পর্যন্ত কি হয়?
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাবেক এই ছাত্র নেতা বলেন, ক্ষমতাসীন সরকার যেভাবে ভাবছে যে, তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নির্বাচন করবে। আমি মনে করি সেটা বাংলাদেশে খুব সহজ হবে না। সেক্ষেত্রে সরকার যে কোনও মূল্যে অন্য কোনও শক্তিকে রাজনীতিতে ঢোকানোর চেষ্টা করবে। কারণ, সরকার একটা ‘সেফ জোন’ চায়।ভালো করে জানে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে তারা সেফ জোন পাবে না। আর নির্বাচনে গেলে হেরে যাবে। কাজেই এই অবস্থায় তাদেরকে বিকল্প অপশন নির্ধারণ করতেই হবে। তবে কিছুটা ভয় পাচ্ছি ফের রক্তপাত হয় কি না। আমার অনেক সরকারের পতন এবং উত্থান খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। যে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বাংলাদেশ পড়েছে, তাতে সাংবিধানিক উত্তরণ অপরিহার্য। যদি সাংবিধানিক উত্তরণ না হয়, তাহলে দেশ ও জাতির জন্য ভালো কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না।
যে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পড়েছে, তাতে সাংবিধানিক উত্তরণ অপরিহার্য।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন