আধুনিক জীবনের অন্যতম অনুসর্গ গাড়ি। অনেকের কাছে এটি বিলাসিতা কিংবা আভিজাত্য প্রদর্শনের উপায়। নতুন গাড়ির শখ থেকে কিংবা আরও ভালো গাড়ির আকাঙ্খায় অনেকে গাড়ির নাম, দাম, মডেল নিয়ে খোঁজ-খবরও রাখেন বেশ। বিশ্বের এমন কিছু গাড়ি আছে যার নাম খটমটে আর দাম চোখ কপালে তোলার মতো। এসব গাড়ির দাম শুনলে বিস্ময়ের আগেও বিস্ময় চিহ্ন বসে যাবে।
মেবাক এক্সেলেরো
গাড়িটি কেবলমাত্র টায়ারের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিলো। এই মডেলের এক এবং একমাত্র গাড়িও এটি। ২০০৪ সালে নির্মিত এই গাড়িটি ফুলডা টায়ার্স নির্মাণ করে। ২০১১ সালে র্যাপার বার্ডম্যান গাড়িটি কিনে নেয়। এর সবোর্চ্চ গতি ৩৫০.৮৩৭ কিলোমিটার। আর গাড়িটি বিক্রি হয়েছিলো প্রায় ৫২ কোটি টাকায়।
কোয়েনিগসেস সিসিএক্সআর
এই গাড়িটি প্রতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৪০৮.৭৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। এর ইঞ্জিন ১০০৪ হর্স পাওয়ারের। তবে এর বিশেষত্ব অন্য জায়গায়। পুরো গাড়িটি যে হিরা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। রেসিন, ডায়মন্ড ডাস্ট ও কার্বন ফাইবার মিশিয়ে কোয়েনিগসেস গাড়িটির আছে ডায়মন্ড উলফ নামের বিশেষত্ব। এই গাড়ির দাম ৩৩ কোটি টাকার মতো।
ল্যাম্বারঘিনি ভেনেনো
বিশ্বে এই গাড়ির সংখ্যা মাত্র নয়টি। এর গতি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৩৫৫ কিলোমিটার। আর ইঞ্জিন ৭৫০ হর্সপাওয়ারের। গাড়িটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে আনা হয়নি। কারণ তার আগেই এটির বেচা-বিক্রি শেষ। এক একটি গাড়ির দাম পড়েছে ৩০ কোটির মতো।
লাইকার হাইপারস্পোর্ট
বিশ্বের এই গাড়ি সংখ্যা মাত্র সাতটি। তার মধ্যে একটি আবার পুলিশ টহল দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। গাড়িটি নির্মাণ করা হয় সৌদি আরবে। প্রতি ঘন্টায় গাড়িটি সবোর্চ্চ ৩৮৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে পারে। গাড়িটিতে ৪২০ টি ১৫ ক্যারেটের হিরা বসানো আছে। এর দাম ২২ কোটি টাকা মাত্র। আর এই গাড়ি এমন করে বানানো হয়েছে চায়লে লাইটে আলাদা করে মনিমুক্তা লাগানো যাবে।
বুগাত্তি ভেরণ সুপার স্পোর্টস
গাড়িটি স্টার্ট দেওয়ার মাত্র আড়াই সেকেন্ডের মধ্যে ০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতি তোলা যায়। আর সবোর্চ্চ গতি ঘন্টায় ৪০৮ কিলোমিটার । গাড়িটি কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যায়। আর এই গাড়ির দাম ১৬ কোটি টাকার মতো।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন